Logo Logo

অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ ৩ দফা দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ


Splash Image

অবকাঠামোগত উন্নয়নসহ তিন দফা দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় (ববি)-এর সাধারণ শিক্ষার্থীরা সোমবার (১৮ আগস্ট) বেলা ১২টার দিকে ঢাকা-পটুয়াখালী মহাসড়কে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছেন।


বিজ্ঞাপন


শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের যৌক্তিক দাবি দ্রুত বাস্তবায়ন না করলে আরও কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।

শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি

১. দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

২. ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি।

৩. সকল শিক্ষার্থীর জন্য শতভাগ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিতকরণ।

প্রতিষ্ঠার এক যুগ পরেও বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। তাদের অভিযোগ, আবাসন, পরিবহন এবং শ্রেণীকক্ষ সংকটের মতো মৌলিক সমস্যাগুলো সমাধানে প্রশাসন নীরব ভূমিকা পালন করছে।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রিপন বলেন, “প্রতিষ্ঠার ১২ বছর পরও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনো কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। অধিকাংশ বিভাগে একটি মাত্র শ্রেণীকক্ষ থাকায় তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, আবাসন ও পরিবহন সংকটের কারণে শিক্ষার্থীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অথচ এ সমস্যা সমাধানে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। আমরা আমাদের অধিকার আদায়ে তিন দফা আন্দোলন শুরু করেছি। সরকার যদি দ্রুত ব্যবস্থা না নেয়, তবে আমরা বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করাসহ পুরো দক্ষিণবঙ্গ অচল করে দিতে বাধ্য হব।”

আরেক শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মাসুম বিল্লাহ বলেন, “একজন শিক্ষার্থীর যে মৌলিক অধিকার থাকা দরকার, আমরা তা থেকেও বঞ্চিত। আমরা দ্রুত এই সংকটগুলোর সমাধান চাই।”

লোকপ্রশাসন বিভাগের শিক্ষার্থী সাব্বির আহমেদ জিসান বলেন, “দক্ষিণবঙ্গের শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ ও জুলাই বিপ্লবের সর্বপ্রথম স্বাধীন ক্যাম্পাস বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। অথচ ২০১১ সালে প্রতিষ্ঠার পর ১৪ বছর পেরোলেও কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি। এ সময়ের মধ্যে সমসাময়িক ও পরবর্তীতে প্রতিষ্ঠিত অনেক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা, গবেষণা ও অবকাঠামোতে অনেক এগিয়ে গেছে। অথচ আমরা বারবার বৈষম্যের শিকার হচ্ছি। নতুন শিক্ষার্থীরা ভর্তি হয়ে যখন দেখে যথেষ্ট ক্লাসরুম নেই, নেই ল্যাব, নেই স্বাস্থ্যকর আবাসন ব্যবস্থা কিংবা উন্নত পরিবহন সুবিধা—তখন তারা হতাশায় ভোগে। গবেষণা তো এখানে বিলাসিতার মতো। সকাল-সন্ধ্যা মুড়ির টিনের ঝুঁকিপূর্ণ বাসে চলাচল করতে হয়।”

তিনি আরও বলেন, “প্রতিবছর বাজেটে দেশের শীর্ষ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যেমন—ঢাবি, রাবি, চবি বিপুল বরাদ্দ পায়; অথচ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে বরাদ্দ হয় নামমাত্র। আমাদের এই অবকাঠামো আন্দোলন আসলে চরম বৈষম্যের বিরুদ্ধে। আমরা হাল ছাড়ব না। দাবি আদায় করতে ববিয়ানরা জানে। চব্বিশে ক্যাম্পাস স্বাধীন করেছি, স্বৈরাচারের দোসর ভিসিকে তাড়িয়েছি—এই দাবিও আমরা আদায় করব, ইনশাআল্লাহ বিজয় আমাদের হবেই।”

শিক্ষার্থীরা দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত কর্মসূচি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।

প্রতিবেদক - মোঃ আশিকুল ইসলাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...