বিজ্ঞাপন
আজ সোমবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলামের নেতৃত্বে ছবিটি অপসারণ করা হয়।
ছবি অপসারণের বিষয়ে জবি ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক রবিউল ইসলাম বলেন, “শেখ মুজিব বাকশালের প্রবক্তা। তারই ধারাবাহিকতায় শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগ গত ১৫ বছরে দেশে ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। আওয়ামী লীগ শেখ মুজিবকে তাদের প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করে। আমরা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ফ্যাসিবাদের এই প্রতীকের কোনো ছবি রাখতে দিতে পারি না। এ কারণে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে এই ছবি অপসারণ করেছি।”
এ বিষয়ে প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, “শেখ মুজিবের ছবি রাখা বা অপসারণের বিষয়ে আমার ব্যক্তিগত কোনো মত বা ইচ্ছা নেই। আমি সাংবিধানিক নীতির প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং তা অনুসরণ করার চেষ্টা করি। প্রশাসন বা উপাচার্যের কাছ থেকে কোনো নির্দেশনা না পেলে আমি নিজে ছবি অপসারণ করতে পারি না। তবে শিক্ষার্থীরা যদি ছবি অপসারণ করতে চায়, তা তাদের সিদ্ধান্ত। আমি আইন লঙ্ঘন করে কোনো পদক্ষেপ নিতে পারব না।”
তবে এ বিষয়ে এখনো পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
প্রসঙ্গত, জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে ছাত্র-জনতার ক্ষোভের মুখে দেশের বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত থেকে সরিয়ে ফেলা হয় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি। একইভাবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও ইনস্টিটিউট থেকেও সরানো হয় শেখ মুজিব ও শেখ হাসিনার ছবি। এরই ধারাবাহিকতায় প্রাণিবিদ্যা বিভাগের চেয়ারম্যানের কক্ষে শেখ মুজিবের ছবি টানিয়ে রাখা নিয়ে নতুন করে আলোচনা তৈরি হয়েছে।
-জবি প্রতিনিধি
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...