বিজ্ঞাপন
সোমবার (১৮ আগস্ট) ওয়াশিংটনে হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইউরোপের কয়েকজন শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা জানান তিনি। জেলেনস্কি বলেন, প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে মস্কোর হামলার পর পুতিনের সঙ্গে এটাই হবে তার প্রথম মুখোমুখি সাক্ষাৎ।
তিনি আরও জানান, ইউরোপীয় নেতারা তাকে সমর্থন দিয়েছেন যে, যুদ্ধ শেষ করতে রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক আলোচনায় যেতে ইউক্রেন প্রস্তুত। তবে এক্ষেত্রে তাকে বেশ কিছু অঞ্চল ছাড় দেওয়ার জন্য আন্তর্জাতিক মহল থেকে চাপের মুখে পড়তে হচ্ছে।
বৈঠকের আগে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ইউক্রেনকে ক্রিমিয়া ছেড়ে দেওয়া এবং ন্যাটোতে যোগদানের লক্ষ্য ত্যাগ করার পরামর্শ দেন—যা সরাসরি পুতিনের দাবির প্রতিফলন। তবে জেলেনস্কি দাবি করেছেন, তিনি ট্রাম্পকে যুদ্ধক্ষেত্রের বাস্তব পরিস্থিতি স্পষ্টভাবে উপস্থাপন করতে সক্ষম হয়েছেন।
তিনি বলেন, “আমাদের বৈঠকগুলোর মধ্যে এটি ছিল সেরা। আমি মানচিত্রের মাধ্যমেও যুদ্ধক্ষেত্রের চিত্র তুলে ধরতে সক্ষম হয়েছি।”
অপরদিকে, ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সাংবাদিকদের বলেন, ইউক্রেনের কাছ থেকে ছাড় আদায়ের পরিবর্তে আলোচনায় মূল গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে শান্তি চুক্তির নিরাপত্তা নিশ্চয়তার ওপর।
এই প্রসঙ্গে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প জানান, যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সমন্বয় করে বিভিন্ন ইউরোপীয় দেশ ইউক্রেনের জন্য নিরাপত্তা গ্যারান্টি প্রদান করবে।
জেলেনস্কিও এ বিষয়ে একমত হয়ে বলেন, “এটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে যুক্তরাষ্ট্র স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিয়েছে, তারা ইউক্রেনের জন্য সহায়তা, সমন্বয় এবং নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশীদার থাকবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...