Logo Logo

৩ দফা দাবিতে ষষ্ঠ দিনের মতো ববি শিক্ষার্থীদের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল


Splash Image

অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জমি অধিগ্রহণ ও পরিবহন সংকট নিরসনের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়(ববি)'র শিক্ষার্থীরা ষষ্ঠ দিনের মতো আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে।


বিজ্ঞাপন


আজ মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে সমাবেশের মাধ্যমে কর্মসূচি শুরু হয়। পরে মানববন্ধন শেষে বিক্ষোভ মিছিলটি পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

গত ২৮ জুলাই এই আন্দোলনের সূচনা হয় এবং ২৯ জুলাই শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে ৩ দফা দাবি উত্থাপন করেন। এরপর ১৪, ১৭ ও ১৮ আগস্ট মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়। সর্বশেষ আজও (১৯ আগস্ট) একই দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। বিশেষ করে আবাসন, পরিবহন ও শ্রেণীকক্ষ সংকটের মতো মৌলিক সমস্যার সমাধানে প্রশাসনের নীরব ভূমিকায় শিক্ষার্থীরা তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

সমাবেশ ও মিছিলে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে ওঠেন ক্যাম্পাস। এ সময় তারা

“বাজেট নিয়ে তালবাহানা চলবে না, চলবে না”

“৫৩ একরে হবে না আর, ২০০ একর চাই এবার”

“মুলা ঝুলানো বন্ধ কর, জমি অধিগ্রহণ দ্রুত কর” সহ নানা স্লোগান দেন।

শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, প্রতিষ্ঠার এক যুগ পেরোলেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন হয়নি।

শিক্ষার্থীদের ৩ দফা দাবি হলো:

১. দ্রুততম সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

২. ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি।

৩. সকল শিক্ষার্থীর জন্য শতভাগ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিতকরণ।

সমাবেশে অংশ নেওয়া ২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী মোহাম্মদ রিপন বলেন,

“আমরা চাই বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন। শিক্ষার্থীদের দাবি প্রশাসন গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করে কার্যকর ব্যবস্থা নিক। আমরা অহিংস আন্দোলনে আছি, তবে প্রশাসন যদি গুরুত্ব না দেয়, তাহলে বাধ্য হয়ে কঠোর আন্দোলনে যেতে হবে।”

আরেক শিক্ষার্থী মোশাররফ হোসেন বলেন,

“৫ আগস্ট পর আমরা ভেবেছিলাম বৈষম্যহীন বাংলাদেশে প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালয় সমানভাবে সুবিধা পাবে। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও হাতে গোনা কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অবহেলা করা হচ্ছে। ১৫ বছরেও বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় যে প্রাধান্য পাওয়ার কথা ছিল, তা পায়নি। আমরা আর বঞ্চিত থাকতে চাই না, আমাদের ন্যায্য অধিকার চাই।”

শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, সরকার যদি দ্রুত কার্যকর পদক্ষেপ না নেয়, তবে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ করে দেওয়া এবং দক্ষিণবঙ্গ অচল করার মতো কঠোর কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে।

-মোঃআশিকুল ইসলাম, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...