বিজ্ঞাপন
‘আখেরি চাহার শোম্বা’ ফারসি শব্দগুচ্ছ, যার অর্থ- শেষ বুধবার। নবুয়তের ২৩তম বছর তথা ১১ হিজরির সফর মাসে দীর্ঘদিনের অসুস্থতার পর ঠিক এই দিনেই কিছুটা সুস্থতা লাভ করেছিলেন মহানবী (সা.)। তিনি শেষবারের মতো গোসল করে মসজিদে গিয়ে নামাজের ইমামতিও করেন। এ সময় তাঁর সুস্থতার খবরে সাহাবিরা খুশি হয়ে দান-সদকা করেন, পশু কোরবানি দেন এবং দাস মুক্ত করেন।
তাদের এই আদর্শ অনুসরণে মুসলমানরা প্রতিবছর এ দিনটিতে দোয়া, ইবাদত-বন্দেগি, দান ও সদকার মাধ্যমে আল্লাহর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে থাকেন। যদিও ইসলামী শরিয়তে এ দিনকে ঘিরে কোনো নির্দিষ্ট ইবাদতের বিধান নেই, তবু দিনটির ইতিহাস ও তাৎপর্য স্মরণে অনেকেই নেক আমলে অংশ নেন।
আখেরি চাহার শোম্বা উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বিশেষ কর্মসূচির আয়োজন করেছে। জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে দিনব্যাপী দোয়া-মাহফিল, কোরআন খতম ও বিশেষ মোনাজাত অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
বিশ্বের বিভিন্ন মুসলিম দেশেও দিনটি বিভিন্নভাবে স্মরণ করা হয়, বিশেষত দোয়া ও ইবাদতের মধ্য দিয়ে। দিনটির মূল শিক্ষা রোগমুক্তির জন্য আল্লাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা, নেক আমলের প্রতি আগ্রহ এবং নবীজির (সা.) জীবন থেকে শিক্ষা গ্রহণ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...