বিজ্ঞাপন
শনিবার (২৩ আগস্ট) বিকেলে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার ভাটিপাড়া গ্রামে শহীদ তুহিনের কবর জিয়ারত ও দোয়া-মোনাজাত শেষে তার পরিবারের সঙ্গে মতবিনিময়কালে বিএমএসএফ ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আহমেদ আবু জাফর এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও আগামী ৯০ দিনের মধ্যে মামলার বিচার সম্পন্ন করার দাবি জানান। পাশাপাশি গাজীপুরের চৌরাস্তা এলাকায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনাস্থলকে “সাংবাদিক তুহিন চত্বর” ঘোষণা বাস্তবায়নের আহ্বান জানান রাষ্ট্রের প্রতি।
দিনব্যাপী পথসভায় অংশ নিয়ে আহমেদ আবু জাফর বলেন, “সাহসী সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যার বিচার দ্রুত শেষ করতে হবে। এ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।”
শনিবার সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত গাজীপুর চৌরাস্তা, শ্রীপুরের মাওনা, ভালুকার সিডস্টোর, ত্রিশালসহ বিভিন্ন স্থানে বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে পথসভা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচি শেষে সংগঠনের নেতারা তুহিনের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার কবর জিয়ারত, দোয়া-মিলাদ ও তবারক বিতরণ করেন। এ সময় তারা নিহতের বাবা-মা, স্ত্রী ও সন্তানদের খোঁজখবর নেন।
কর্মসূচিতে গাজীপুরের গাছা, বাসন, জয়দেবপুর, কাশিমপুর, কোনাবাড়ী, টঙ্গী, শ্রীপুরসহ ময়মনসিংহের ভালুকা, ত্রিশাল, গৌরীপুর, ফুলপুর, নকলা ও ফুলবাড়িয়ার শত শত সাংবাদিক এবং তুহিনের গ্রামের স্থানীয় লোকজন অংশ নেন।
এর আগে আনুষ্ঠানিকভাবে গাজীপুরের জয়দেবপুর চান্দনা চৌরাস্তা “শহীদ সাংবাদিক তুহিন চত্বর” ঘোষণা করেন সংগঠনের নেতারা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নকলা উপজেলা বিএমএসএফ সভাপতি শফিউজ্জামান রানা, সাধারণ সম্পাদক আরিফুর রহমান, ট্রাস্টি বোর্ডের সদস্য মোস্তাক আহমেদ খান ও আমজাদ হোসেন, সাবেক কেন্দ্রীয় যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক গাউছ উর রহমান, সহ-সম্পাদক নুরুল হুদা বাবু, দফতর বিষয়ক সমন্বয়ক মো. আল মাসুম খান, কেন্দ্রীয় নেতা আনোয়ার সাদত জাহাঙ্গীর, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল্লাহ মাহমুদ, কেন্দ্রীয় নেতা সোহাগ ভুঁইয়া, শেখ রাজা, মরিয়াম আক্তার মারিয়া, মো. হাসান, মৃণাল কান্তি চৌধুরী এবং ভালুকা শাখার সভাপতি শফিউল্লাহ আনসারীসহ অসংখ্য সাংবাদিক নেতা।
প্রতিবেদক - আইনুল নাঈম, নকলা, শেরপুর
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...