বিজ্ঞাপন
অভিযুক্ত দুই ছাত্রদলকর্মী হলেন মিজানুর রহমান ও মিয়া বাবুল। তারা উভয়েই ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রদলের কয়েকজন কর্মী মঞ্জুকে স্থানীয় ফরেন মামার দোকানে দেখতে পেয়ে আটকে রাখে। খবর ছড়িয়ে পড়লে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ঘটনাস্থলে জড়ো হতে শুরু করেন। তবে এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছাত্রদলের কতিপয় নেতা-কর্মীরা যোগসাজশ করে মঞ্জুকে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যেতে সহায়তা করেন।
এ ঘটনায় ক্যাম্পাসজুড়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত কলা ও মানবিক অনুষদের এক শিক্ষার্থী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন,
"রাত নয়টার দিকে মঞ্জুকে আটকানো হয়। পরবর্তীতে সাড়ে নয়টার দিকে ছাত্রদলের মিজান, মিয়া বাবুল ও মিঠুনসহ আরও কয়েকজন মঞ্জুর সাথে পার্সোনাল কথা বলার নাম করে মেরিনের সামনের রাস্তার দিকে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পরে তারা বলে মঞ্জুকে পাওয়া যাচ্ছে না মঞ্জু পালিয়ে গেছে।"
ইংরেজি বিভাগের ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও প্রত্যক্ষদর্শী রাকিন খান বলেন, "আগামীকাল সোমবার আমাদের বিভাগের অ্যাসোসিয়েশন নির্বাচন। নির্বাচনে মঞ্জু একটা গ্রুপকে সার্পোট করছে সেই গ্রুপের হয়ে রাতে প্রচারণা করছিলো এমন ঘটনা শুনে আমিসহ ছাত্রদলের মিজান, মিয়া বাবুল ও মিঠুন ভাইসহ আরও কয়েকজন মেরিন অ্যাকাডেমির সামনে নভোথিয়েটারের ঐখানে যায়। গিয়ে মঞ্জুকে দেখতে পায় তখন মঞ্জুকে মিজান ও মিয়া বাবুল ভাই বিভিন্ন কথা জেরা করছিলো। এর মধ্য আমি পুলিশ ও প্রক্টরকে কল দিতে পাশে যায় কিছুক্ষণ পরে গিয়ে দেখি মঞ্জু নেই। মিজান ও মিয়া বাবুল ভাইকে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন মঞ্জু আশেপাশেই আছে কিন্তু পরে তাকে আর কোথাও পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদল কর্মী মিজানুর রহমানকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায় নি।
অভিযুক্ত ছাত্রদলের আরেককর্মী মিয়া বাবুলকে দুইবার ফোন করা হলে সাংবাদিক পরিচয় দেয়াড় পরই দুইবার হ্যালো হ্যালো বলে কল কেটে দেন। পরবর্তীতে একাধিকবার কল করেও সাড়া মেলেনি।
-বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...