Logo Logo

আগামীকাল অ্যাকাডেমিক কাউন্সিল না হলে বাকৃবি অচল করে দেওয়ার ঘোষণা


Splash Image

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দীর্ঘদিনের কম্বাইন্ড (বি.এসসি ইন ভেটেরিনারি সায়েন্স অ্যান্ড অ্যানিমেল হাজব্যান্ড্রি) ডিগ্রির দাবিতে প্রায় একমাস ধরে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে।


বিজ্ঞাপন


আন্দোলনকারীদের ‘স্বৈরাচার’ ও ‘বিপথগামী’ আখ্যায়িত করায় ক্ষুব্ধ হয়ে মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) দুপুরে ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থীরা দুই অনুষদে তালা ঝুলিয়ে প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন
আগামীকাল জরুরি অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক না ডাকলে পুরো বিশ্ববিদ্যালয় অচল করে দেওয়া হবে।

অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে শিক্ষার্থীদের ধৈর্য ধরার আহ্বান জানান বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ. কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। তিনি বলেন, “অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক আহ্বান করতে হলে কমপক্ষে ৭ দিন আগে নোটিশ দিতে হয়। এখনো তদন্ত কমিটির রিপোর্ট হাতে আসেনি। আমরা সেটির জন্য অপেক্ষা করছি। তোমাদের দাবি আদায়ের বিষয়ে প্রশাসন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে।”

তিনি আরও বলেন, “কমিটির সদস্যরা দিন-রাত পরিশ্রম করছেন। তারা ক্লাস-পরীক্ষার পাশাপাশি ৬৪ বছরের জটিল সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করতে কাজ করছেন। রিপোর্ট জমা হলে সবার সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। অতি দ্রুততা করলে সমাধান টেকসই হয় না।”

অবস্থান কর্মসূচিতে শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন— “তুমি কে আমি কে, ফ্যাসিস্ট ফ্যাসিস্ট”, “চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম স্বৈরাচার”, “উই ওয়ান্ট কম্বাইন্ড, কম্বাইন্ড” প্রভৃতি।

ভেটেরিনারি অনুষদের শিক্ষার্থী আতিকুর রহমান বলেন, “এই আন্দোলন কেবল গত ৩০ দিন নয়, কয়েক বছর ধরেই চলছে। প্রথমে আমরা একাই আন্দোলন শুরু করেছিলাম। এবার দুই অনুষদের শিক্ষার্থীরাই একসঙ্গে মাঠে নেমেছে। অনলাইনে ভোটের পর অ্যাকাডেমিক কাউন্সিলের বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা হয়নি। এজন্য অনুষদে তালা দিয়েছি। যতদিন পর্যন্ত বৈঠক না হবে, ততদিন তালা খোলা হবে না। প্রয়োজনে পুরো অনুষদ অচল করে দেওয়া হবে।”

পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ বলেন, “আমাদের ফ্যাসিস্ট বা বিপথগামী বলা হচ্ছে। অথচ আমরা সাধারণ শিক্ষার্থী, কোনো রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নই। পেশাগত বৈষম্য দূর করার জন্য কম্বাইন্ড ডিগ্রি দিতেই হবে।”

কম্বাইন্ড ডিগ্রি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে গত ১২ আগস্ট একটি সুপারিশ কমিটি গঠন করা হয়। কমিটি ধাপে ধাপে ভেটেরিনারি ও পশুপালন অনুষদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করে। পরে শিক্ষার্থীদের মতামত নিতে নিজস্ব ইআরপি অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অনলাইনে ভোটগ্রহণ আয়োজন করা হয়।

ভোটের ফলে দেখা যায়— পশুপালন অনুষদের ৯০ শতাংশ এবং ভেটেরিনারি অনুষদের ৮০ শতাংশ শিক্ষার্থী কম্বাইন্ড ডিগ্রির পক্ষে মত দিয়েছেন।

প্রতিবেদক- মোঃ আমান উল্লাহ, বাকৃবি প্রতিনিধি।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...