বিজ্ঞাপন
বুধবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার শ্যামগ্রাম নাসিরাবাদ এলাকায় মেঘনা নদী পরিদর্শন ও স্থানীয় সুশীল সমাজের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে দুপুর ১২টার দিকে নিজ পৈত্রিক বাসায় পৌঁছালে পুলিশ তাকে গার্ড অব অনার প্রদান করে। মতবিনিময় শেষে বিকালে তিনি মেঘনা নদী পরিদর্শন করেন এবং পরে সভায় যোগ দেন।
শারমিন এস মোর্শেদ বলেন, স্বাধীনতার পর দেশে বহু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, অনেক সরকার এসেছে গেছে। কিন্তু বর্তমানে চলমান সহিংস পরিবেশ নির্বাচন আয়োজনকে বড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলছে। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে জনগণের সহযোগিতা অপরিহার্য বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
তিনি আরও বলেন, “আমরা একটি রাষ্ট্র পেয়েছি যেখানে কোনো টাকা ছিল না, কোনো নিয়ম ছিল না, কোনো সিস্টেম ছিল না। এর মধ্য থেকে আমরা আপনাদের পেয়েছি। দুর্নীতি এমন এক পর্যায়ে পৌঁছেছিল যা সামাল দেওয়া কঠিন। আমরা দেখেছি ভালবেসে ড. ইউনুসকে মানুষ নিয়ে এসেছে, আবার দেখেছি গত এক বছরে মানুষ অসহ্য হয়ে উঠেছে। যদি মাত্র একবছরে আমরা অসহ্য হয়ে যাই তাহলে গত ১৫-১৮ বছরের দুর্নীতি ও অন্যায় কীভাবে শুধরাবো? এখান থেকে আমার আবেদন—আপনারা সবাই যার যার জায়গা থেকে সহযোগিতা করবেন।”
শিশু ও মেয়েদের নিরাপত্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ঘরে-বাইরে নারীদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, “৭১ ছিল বলে আমরা একটি স্বাধীন জীবন, মতপ্রকাশের অধিকার ও জায়গা পেয়েছি। স্বাধীন দেশে বহু নির্বাচন ও সরকার দেখেছি। এর ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থান সৃষ্টি হয়েছিল।”
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে ঢাকার রাস্তায় জনসমুদ্রের ঢেউ যখন মুক্তির আহ্বানে গর্জে উঠেছিল, তখন মনে হয়েছিল স্বয়ং ফেরেশতা নেমে এসেছে। সেই ঢেউ আমাদের বুঝিয়ে দিয়েছে—সময় পাল্টে গেছে, রাজনীতিকেও পাল্টাতে হবে। আমরা চলে যাব, কিন্তু আমাদের গভীর আবেদন থাকবে, রাজনৈতিক দলগুলো মিলেমিশে যেন দেশের মানুষকে একটি নিয়মতান্ত্রিক নির্বাচন উপহার দেয়।”
সভায় সভাপতিত্ব করেন নবীনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাজিব চৌধুরী। এসময় উপস্থিত ছিলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ব্রাহ্মণবাড়িয়ার উপ-পরিচালক মঞ্জুরুল ইসলাম, নবীনগর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) খালেদ বিন মনসুরসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...