বিজ্ঞাপন
রোববার সচিবালয়ে আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। সভা অনুষ্ঠিত হয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, সভার মূল আলোচনা ছিল আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতি, রাজনৈতিক দলগুলোর সাম্প্রতিক কার্যক্রম এবং আইন-শৃঙ্খলার অবস্থা। তিনি বলেন, “ফ্যাসিস্ট সরকার পতনের পরে রাজনৈতিক দলগুলোর যে ঐক্য, তা ধরে রাখতে হবে। জাতির বৃহত্তর স্বার্থে ক্ষুদ্র স্বার্থ ও দলীয় স্বার্থকে পেছনে রেখে ঐক্য বজায় রাখতে হবে। ঐক্যে ফাটল ধরলে ফ্যাসিস্ট দোসররা ঢুকে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে। নির্বাচনের অবাধতা ও নিরাপত্তা নির্ভর করছে রাজনৈতিক দলগুলোর আচরণের ওপর।”
তিনি আরও বলেন, “নির্বাচনে জনগণের অবাধ ও স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি রাজনৈতিক দলগুলোর দায়িত্ব। সবার সহযোগিতায় অন্তর্বর্তী সরকার একটি অবাধ, শান্তিপূর্ণ ও উৎসবমুখর নির্বাচন উপহার দিতে পারবে বলে আমরা আশা করি।”
পুলিশের কার্যক্রম নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, “যদি পুলিশ অ্যাকটিভ হয়ে থাকে, তাহলে বলা হয় পুলিশ ওভার করছে। আমরা চেষ্টা করছি। গতকাল আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনায় যদি পুলিশ আগেই অ্যাকশনে যেত, তাহলে কেউ বলবে ‘শান্তিপূর্ণ অনুষ্ঠান হচ্ছে’, কিন্তু আগুন ধরার পর যখন বাধা দেওয়া হচ্ছে, তখন বিষয়টি সমালোচিত হয় না। নিয়ম হলো আগুন ধরার আগেই পদক্ষেপ নেওয়া। আমরা দায়িত্ব নেওয়ার পর ১,৪০৬টি অবরোধ সড়ক থেকে সরানো হয়েছে, যা করেছে ১২৩টি সংগঠন। এসব অবরোধ রাস্তায় হলে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হয়।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...