বিজ্ঞাপন
জেলা যুবদলের আহ্বায়ক মঞ্জুরুল আজিম সুমন সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, “আমরা একটি ভিডিও পেয়েছি, এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে। অভিযুক্তকে নোটিশ প্রদান করা হয়েছে এবং জবাব দুদিনের মধ্যে দিতে বলা হয়েছে।”
প্রত্যক্ষদর্শী ও ভুক্তভোগী চিকিৎসক ডাঃ মাহমুদুর রহমান জানান, হাতিয়া পৌরসভা যুবদলের আহ্বায়ক মোমিন উল্যা রাসেলসহ কয়েকজন যৌথ মালিকানায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সংলগ্ন ‘হাতিয়া পপুলার ডায়াগনস্টিক’ নামের একটি ল্যাব পরিচালনা করে আসছে। রোববার (৩১ আগস্ট) ওই ল্যাবের পার্টনার রাফুল পার্শ্ববর্তী ‘মেঘনা ডায়াগনস্টিক সেন্টার’-এ রোগী পাঠানোর অভিযোগে চিকিৎসককে হুমকি দেন। এ সময় রাফুল তাকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার হুমকিও দেন।
ডাঃ মাহমুদুর রহমান বলেন, “হুমকির সময় আমি বলেছিলাম, কিভাবে পোড়াবেন সামনে আসুন। পরে রাতেই মোমিন উল্যা রাসেল ও রাফুলসহ আরও দুইজন আমার অফিসে ঢুকে মারমুখী হয়ে ধাক্কাধাক্কি শুরু করে।” এই সময় তিনি নিজের জীবন রক্ষার জন্য ১৬ সেকেন্ডের একটি ভিডিও ধারণ করেন। ভিডিওতে তিনি বলতে শোনা যায়, “আমার জীবনের কোন নিরাপত্তা নেই, অবশ্যই আমি ভিডিও করব।”
অভিযোগের জবাবে মোমিন উল্যা রাসেল বলেন, “ওখানে আমাকে অপমান-অপদস্ত করা হয়েছে। ডাক্তার ও অন্যান্য কর্মকর্তারা প্রত্যক্ষভাবে আমাকে ভিকটিম বানাচ্ছেন।” অন্যদিকে হাতিয়া পপুলার ডায়াগনস্টিকের পার্টনার নাজমুল হোসেন রাফুল অভিযোগ নাকচ করে বলেন, “ডাক্তার মাহমুদুর অকারণে রোগীদের বিভিন্ন ল্যাব টেস্ট করতে বাধ্য করেন। আল্ট্রা টেস্টগুলো তার স্ত্রীকে দিতে বাধ্য করা হয়।”
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ কে এম আজমল হুদা বলেন, “ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ডাক্তার সরকারি চেম্বারে বসে রোগী রেফার করেছেন মেঘনা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এরপর উভয়ের মধ্যে কথাকাটাকাটির ঘটনা ঘটে।”
এদিকে অভিযোগের প্রতিবাদে চিকিৎসক কর্মবিরতি করছেন কি-না জানতে চাইলে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, “এ বিষয়ে আমার জানা নেই, তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ডাক্তার একলা মানববন্ধন করছেন।”
এই ঘটনায় নোয়াখালী জেলা যুবদল আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং সম্প্রতি ভিডিও প্রকাশের প্রেক্ষিতে তদন্ত কার্যক্রম চলছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...