বিজ্ঞাপন
আজ মঙ্গলবার দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলা থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভ মিছিলটি ভিসি ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচিতে পরিণত হয়।
ছাত্রদল নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, "ছাত্রশিবিরের নেতারা ধারাবাহিকভাবে নারী শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা হুমকির মুখে ফেলছে। বিশেষ করে যারা শিবিরের বিপরীতে অবস্থান নেয় বা মত প্রকাশ করে, তাদের লক্ষ্য করে অবমাননাকর মন্তব্য, হুমকি ও হয়রানিমূলক আচরণ করা হচ্ছে।"
বক্তারা আরও জানান, ডাকসু নির্বাচনে শিবির প্রার্থীর বিরুদ্ধাচরণকারী নারী শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে ধর্ষণের হুমকি একটি ভয়ঙ্কর নজির। এটি শুধুমাত্র ব্যক্তি আক্রমণ নয়, বরং দেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে নারীর নিরাপদ অংশগ্রহণের ওপর সরাসরি আঘাত।
জবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব শামসুল আরেফিন বলেন, "২৪ আগস্ট না হলে সাদিক, ফরহাদ কি প্রকাশ্যে আসতো? আমরা আগামীর সুন্দর বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য ৩১ দফা সামনে রেখে কাজ করে যাচ্ছি। বাংলাদেশ যখন বিপদে পড়ে, তখন কিছু জায়গা থেকে অশান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করা হয়। এই বাংলাদেশে কোনো গণহত্যাকারী বা গণধর্ষকের ঠাঁই নেই।"
তিনি আরও বলেন, "কিছু কুলাঙ্গার মব তৈরির চেষ্টা করছে। নারীদের তীর্যকভাবে দেখিয়ে দিতে চাইছে। একাত্তরে যেভাবে নারীদের উপর অবিচার করা হতো, এরা এখনও সেই ধারা চালাতে চায়। প্রতিটি ক্যাম্পাসে কিছু কিছু মানুষ গুপ্ত রাজনীতি করে মব তৈরি করছে। শিবির দাবি করছে, আলী হোসেন তাদের লোক নয়। ইন্টেরিম সরকারকে অনুরোধ, এ ধরনের গুপ্ত রাজনীতি বন্ধ করুন। ছাত্রসংসদ নির্বাচনে পরাজিত হওয়ার ভয়ে কিছু লোক মব সৃষ্টি করছে।"
শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মেহেদী হাসান হিমেল বলেন, "গত ১৭ বছর ধরে আমরা নিজেদের ব্যানারে রাজনৈতিক মিছিল করেছি। এর ফলে শত শত নেতাকর্মী হামলা, মামলা, গুম ও খুনের শিকার হয়েছেন। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের তিন নেতাকে গুম করা হয়েছে এবং তারা এখনও নিখোঁজ। তবুও আমরা অন্য কোনো আশ্রয় নেই।"
বক্তারা অভিযোগ করেন, শিবিরের অনেক নেতা ছাত্রলীগের ছায়াতলে বা পোস্টেড হিসেবে রাজনীতি করেছেন। এছাড়া জুলাই-২৪ এর পর বিভিন্ন সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক ছাত্রলীগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে অপকর্ম ও অন্যায়কে প্রশ্রয় দিয়েছেন। যারা ক্যাম্পাসে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ করতে চেয়েছিলেন, তারা এখন শিবিরের নেতা। বক্তারা বলেন, "৭১ সালে পাকিস্তানের পক্ষে কাজ করা এবং সেই আদর্শ ধারণ করা এ দেশের জন্য হুমকিস্বরূপ।"
বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচিতে সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাফর আহমেদ, যুগ্ম আহ্বায়ক শাহরিয়ার হোসেন, মাহমুদুল হাসান খান, রবিউল আউয়াল, রফিকুল ইসলাম, নাহিয়ান বিন অনিক, রাসেল মিয়া, ওহিদুজ্জামান তুহিন, জাহিদুল ইসলাম, রাশেদ খান, রাহাতসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বক্তব্য দেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...