Logo Logo

নীলফামারীতে শ্রমিক হত্যার প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ


Splash Image

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা নীলফামারীর উত্তরা ইপিজেডে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গুলিতে এক শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনায় বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ শেষে ভাস্কর্য চত্বরে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে এই বিক্ষোভ মিছিল শেষ হয়। সমাবেশে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা “জয় জয় জয়, সর্বহারা”; “শ্রমিকের সংগ্রাম, চলছে চলবে” ইত্যাদি স্লোগান দেন।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, একটি কোম্পানিতে ৩০ হাজারের বেশি শ্রমিকের মধ্যে প্রায় তিন হাজার শ্রমিককে বিভিন্ন অজুহাতে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে এবং বেতন বকেয়া রাখা হয়েছে। এছাড়াও শ্রমিকদের ভাতা সময়মতো প্রদান, আবাসন ও প্রমোশনের জটিলতা নিরসন, সকাল ৭টার আগে ডিউটি না রাখা এবং গর্ভবতী শ্রমিকদের বিশেষ সুবিধা নিশ্চিত করতে আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর পুলিশ ও সেনাবাহিনী গুলি চালিয়েছে। এতে হাবিব নামের এক শ্রমিক নিহত হয়েছেন।

নাট্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থী ইমতিয়াজ আরেফিন সৌরভ বলেন, “ইতিহাসে দেখা গেছে, ইউনুস সরকারের সময় রাবার বুলেট ব্যবহৃত হতো, এখন রিয়েল বুলেট ব্যবহৃত হচ্ছে। বেতন বকেয়া রেখে শ্রমিকদের ওপর গুলি চালানো হয়েছে। যেই রাষ্ট্র শ্রমিককে হত্যা করে, সেই রাষ্ট্র ভাঙা উচিত।”

ইন্ডিজেনাস পিপলস রাইটস ইউনিয়নের সদস্য নু মং প্রু মারমা বলেন, “শ্রমিকদের বেতন ১ বছর ধরে প্রদান করা হয়নি, উল্টো তাদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। এই আন্দোলনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিতে আহত ও নিহত হয়েছে। ঘটনার সঠিক তদন্ত ও বিচার করা না হলে সংশ্লিষ্টদের চরম মূল্য দিতে হবে। শ্রমিক ও সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।”

বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক অরুনাভ আশরাফ বলেন, “সেনাবাহিনী নিয়ে আমরা গর্ব বোধ করি, কিন্তু এখন তারা জনগণের ওপর সহিংস রূপে প্রতিফলিত হচ্ছে। আন্দোলনরত শ্রমিকদের ওপর হামলা করা সরকারের তাবেদারিত্ব প্রদর্শন করছে। তবে জনগণ সক্রিয় হলে আর সেনাবাহিনী শ্রমিক মিছিলে গুলি চালাবে না।”

সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলম মারুফ বলেন, “যুগের পর যুগ যায়, কিন্তু শ্রমিকদের ভাগ্য পরিবর্তন হয় না। শ্রমিকদের অধিকার আদায়ের আন্দোলনে সরকার ও সেনাবাহিনী হামলা চালাচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো শ্রমজীবী মানুষের টাকায় চলে। তাই তাদের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি। ফ্যাসিবাদ বিদ্যমান থাকলে শ্রমিক হত্যার জবাব এই সরকারকে দিতে হবে। পাশাপাশি পাহাড়ে সেনাশাসন ও সেনাবাহিনীর ম্যাজিস্ট্রি পাওয়ার প্রত্যাহার করতে হবে।”

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...