বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে এক আলোচনা সভায় তিনি বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় ঘোষিত র্যালিতে যোগদানের আহ্বান জানাতে গিয়ে বলেন, “এই র্যালিতে আওয়ামী লীগ নাই, চরমোনাই নাই, জামাত নাই, সবাই যোগদান করবেন।”
তার এই বক্তব্যের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তে ভাইরাল হয়। ফেসবুকসহ স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে শুরু হয় ব্যাপক সমালোচনা।
তৃণমূল বিএনপি নেতাদের একাংশ অভিযোগ করে বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মতো দলের গুরুত্বপূর্ণ কর্মসূচিতে এমন অযাচিত মন্তব্য শুধু দৃষ্টিকটু নয়, বরং দলীয় ঐক্য ও কৌশল নিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে। তাদের মতে, দায়িত্বশীল পদে থেকে এ ধরনের বক্তব্য রাজনৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য।
অন্যদিকে সাধারণ স্থানীয়রা মনে করছেন, সভাপতি আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য বিএনপির আদর্শ ও সাংগঠনিক নীতিকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। তাদের ধারণা, এ ধরনের মন্তব্যে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সুযোগ নিচ্ছে এবং এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
এ বিষয়ে উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদের ব্যবহৃত মুঠোফোনে একাধিকবার কল দিলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
এ প্রসঙ্গে ঝালকাঠি জেলা বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট শাহাদাৎ হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগ, জামাত, চরমোনাইকে পূর্ণবাসনের দায়িত্ব দল থেকে রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি তালুকদার আবুল কালাম আজাদকে দেওয়া হয় নাই। রাজাপুর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদককে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে পদ স্থগিত করা হলেও, কোন এক নেতার ইন্দনে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। হয়তো ওই নেতার প্রভাবে আবুল কালাম আজাদ এ ধরনের বক্তব্য দিয়েছেন। তার বক্তব্যের দায় দল নেবে না।”
স্থানীয় রাজনৈতিক মহল মনে করছে, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মতো আনন্দঘন আয়োজনকে ঘিরে এই ধরনের মন্তব্য শুধু বিভ্রান্তিই সৃষ্টি করেনি, বরং দলীয় অভ্যন্তরে অস্বস্তি বাড়িয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...