ধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়দের সহায়তায় তাকে আটক করা সম্ভব হয়। ছবিতে উৎসুক জনতার ভিড়। ইনসেটে ছাদের আগুন। সংগৃহীত ছবি
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে বিজিবি ক্যাম্পের একটি কিন্ডারগার্টেন স্কুলের পাশের ছয়তলা ভবনে রবিন খানের বাসায় হানা দেয় এই চোর। রবিন তখন বাড়িতে ছিলেন না। পরবর্তীতে তিনি বাড়িতে গেলে চোর তার ওপর হামলা করে।
রবিন খান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, আমি ঘরে প্রবেশ করার পর হঠাৎ এক ব্যক্তি ধারালো ছুরি ও রড নিয়ে আমাকে আক্রমণ করে। আমি চিৎকার করলে আশপাশের লোকজন দ্রুত এগিয়ে আসে। স্থানীয়দের ধাওয়া খেয়ে চোরটি ভবনের ছাদে উঠে যায়। এ সময় তিনি ৩-৪ জনকে ছুরিকাঘাত করেন এবং ছাদের দরজা বন্ধ করে দেন।
মোহাম্মদ সাজ্জাদ নামে স্থানীয় এক যুবক জানান, তারা কৌশলে চোরটিকে নিচে নামিয়ে আনার চেষ্টা করলে তিনি ছাদে বৈদ্যুতিক তারে আগুন ধরিয়ে দেন। এতে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে এবং পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে ওঠে। এই ঘটনায় পাঁচশরও বেশি এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। তাৎক্ষণিকভাবে বিদ্যুৎ অফিসে খবর দিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয় এবং ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশকে জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের তৎপরতায় অল্প সময়ের মধ্যেই আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স সার্ভিসের উপসহকারী পরিচালক মোহাম্মদ তানহারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে আমাদের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রথমে আগুন নেভায় এবং স্থানীয়দের সহযোগিতায় ছাদ থেকে অভিযুক্ত চোরকে নামিয়ে আনে। পরে তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ইলিয়াস জানান, আটক চোরের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। আটকের পর অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাকে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...