ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
বুধবার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় মহেশখালী সমন্বিত উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (মিডা) সঙ্গে বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা তার এই ভিশন তুলে ধরেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুন, সদস্য কমোডর তানজিম ফারুক, সদস্য মো. সারোয়ার আলম, প্রধান উপদেষ্টার এসডিজি বিষয়ক মুখ্য সমন্বয়ক লামিয়া মোরশেদ এবং প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের সচিব মো. সাইফুল্লাহ পান্না।
বৈঠকে মিডার চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক মহেশখালী-মাতারবাড়ী প্রকল্পের উপর একটি প্রেজেন্টেশন দেন এবং আগামী চার মাসের কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। তিনি জানান, প্রকল্পটি তিন ধাপে বাস্তবায়ন করা হবে- প্রথম ধাপ: ২০২৫–২০৩০, দ্বিতীয় ধাপ: ২০৩০–২০৪৫ এবং তৃতীয় ধাপ: ২০৪৫–২০৫৫ সালে।
চৌধুরী আশিক বলেন, “প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে প্রায় ২৫ লাখ লোকের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ কর্মসংস্থান হবে এবং জিডিপিতে দেড়শ বিলিয়ন মার্কিন ডলার যুক্ত হবে।”
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ইউনূস বলেন, “শুধু গভীর সমুদ্র বন্দর নয়, আমাদের ব্লু ইকনোমি গড়ে তোলার ভিশন নিয়ে কাজ করতে হবে। ওই এলাকা শুধু একটি ফ্যাসিলেটিং জোন হিসেবে নয়, বরং সেখানে একটি নতুন শহরের জন্ম হবে। সমুদ্রই হবে বিশ্বের পথে আমাদের মহাসড়ক।”
তিনি মহেশখালী অঞ্চলে আন্তর্জাতিক মানের ট্রেইনিং ফ্যাসিলিটি গড়ে তোলার ওপরও জোর দেন। প্রফেসর ইউনূস আরও বলেন, “আমরা সমুদ্র জগতে কখনো প্রবেশ করিনি। এ বিষয়ে গবেষণা ও তথ্য নেই। অন্য দেশের গবেষণাপত্র খুঁজে বের করতে হবে এবং নিজস্ব গবেষণা শুরু করতে হবে। এ জন্য প্রতিষ্ঠান এবং একাডেমিয়া গড়ে তুলতে হবে। এছাড়া ওশান ইকনোমি নিয়ে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স আয়োজন করা প্রয়োজন।”
বৈঠকে পরিবেশ সংরক্ষণ ও ইকো-ট্যুরিজমের বিষয়েও আলোচনা হয়। প্রধান উপদেষ্টা বলেন, “সেখানকার বনভূমি বর্তমানে কী অবস্থায় আছে, ভবিষ্যতে আমরা বনভূমিগুলোকে কী অবস্থায় দেখতে চাই, সেই পরিকল্পনাও করতে হবে।”
প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে মহেশখালী-মাতারবাড়ী শুধুমাত্র একটি গভীর সমুদ্রবন্দর হিসেবে নয়, দেশের অর্থনৈতিক ও আন্তর্জাতিক যোগাযোগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠবে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...