বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে নগরের ফেরিঘাট মোড় থেকে গণ অধিকার পরিষদের একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিলকারীরা জাপা কার্যালয়ের সামনে গিয়ে ভাঙচুর চালায়। এ সময় কার্যালয়ের গ্রিল খুলে রিকশায় করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং কাগজপত্র রাস্তায় এনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। পরবর্তীতে মিছিলকারীরা ফেরিঘাট মোড়ে ফিরে জাপা চেয়ারম্যানের কুশপুত্তলিকা দাহ করেন। সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত এ কর্মসূচি চলে।
গণ অধিকার পরিষদের নেতারা জানান, দলের সভাপতি নুরুল হক নূরসহ নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাকারীদের বিচার, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ এবং জাপাসহ ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধ করার দাবিতে এ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল।
খুলনা জেলা গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি জি এম আজিজুল ইসলাম বলেন, “আমরা বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ফেরার সময় জাতীয় পার্টির অফিসের পাশের মাহিন্দ্রাস্ট্যান্ডে আমাদের কর্মীরা গাড়ি সরাচ্ছিলেন। তখন কিছু মানুষ—তারা জাপা না আওয়ামী লীগের কর্মী, তা আমরা নিশ্চিত নই—আমাদের দল ও নেতাকে নিয়ে বাজে মন্তব্য করতে থাকেন। এ সময় আমাদের নেতা-কর্মীরা ক্ষুব্ধ হয়ে জাপা অফিসের সাইনবোর্ড খুলে নেন। এরপর আমরা ফেরিঘাট মোড়ে কিছুক্ষণ অবস্থান করে চলে আসি।”
অন্যদিকে জাপার মহানগর সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মামুন অভিযোগ করেন, ভাঙচুরের পর দলীয় কার্যালয়ের সব মালামাল লুট করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “হামলাকারীরা চেয়ার-টেবিল, কাগজপত্র ছাড়াও দরজা-জানালার গ্রিল ও সাইনবোর্ড পর্যন্ত খুলে নিয়ে গেছে। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।”
এর আগে গত ৩০ আগস্ট খুলনায় জাপা কার্যালয়ের সামনে পুলিশের সঙ্গে গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়েছিল। আজকের ঘটনায়ও পুলিশ উপস্থিত থাকলেও তেমন কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।
খুলনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাওলাদার সানওয়ার হুসাইন মাসুম বলেন, “গণ অধিকার পরিষদের নেতা-কর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল করে জাপা কার্যালয় ভাঙচুর করেছেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো অভিযোগ পাওয়া যায়নি।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...