Logo Logo

তিন দফা দাবিতে গণ অনশনের ডাক দিল ববি শিক্ষার্থীরা

৩৭ দিনের টানা আন্দোলনের পর এবার গণ অনশনে বসছে ববি শিক্ষার্থীরা


Splash Image

মৌলিক চাহিদা পূরণ না হওয়ায় কঠোর কর্মসূচিতে ববি শিক্ষার্থীরা

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অবকাঠামো উন্নয়ন, ক্যাম্পাস সম্প্রসারণ ও পরিবহন সুবিধার দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলনের পর অবশেষে গণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছে। সরকারের নীরব ভূমিকার কারণে ৩৭ দিন ধরে চলা এ আন্দোলন এখন নতুন মোড় নিয়েছে।


বিজ্ঞাপন


অবকাঠামোগত উন্নয়ন, জমি অধিগ্রহণ এবং পরিবহন সংকট নিরসনের দাবিতে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এবার গণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন। টানা ৩৭ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পরও সরকারের পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর উদ্যোগ কিংবা আলোচনা না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা এ সিদ্ধান্তে উপনীত হন।

গত ২৮ জুলাই শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন শুরু করেন এবং পরদিন ২৯ জুলাই সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। তারপর থেকে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও সড়ক অবরোধের মতো ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করে আসছেন তারা।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো—

১️ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্রুততম সময়ে অবকাঠামোগত উন্নয়ন।

২️ ক্যাম্পাসের আয়তন বৃদ্ধি।

৩️ প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্য শতভাগ পরিবহন সুবিধা নিশ্চিতকরণ।

আজ (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে ক্যাম্পাসের তিন নম্বর গেটের সামনে মহাসড়ক অবরোধ করেন। শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, আবাসন সংকট, শ্রেণীকক্ষ সংকট ও পরিবহন সংকটের মতো মৌলিক সমস্যাগুলো সমাধানে প্রশাসনের নির্লিপ্ততা তাদের আন্দোলনকে দীর্ঘায়িত করেছে।

কিছু সময় মহাসড়ক অবরোধের পর জনদুর্ভোগ এড়াতে শিক্ষার্থীরা গণ অনশনের ঘোষণা দেন।

আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী অমিও মণ্ডল বলেন—

“আমরা অনেক দিন ধরে আন্দোলন করছি। সরকারের প্রতি আমাদের মৌলিক দাবি জানিয়ে আসছি, কিন্তু কোনো পক্ষ থেকে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। তাই জনদুর্ভোগ এড়াতে আমরা সড়ক অবরোধের বদলে গণ অনশনে বসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”

ইংরেজি বিভাগের শিক্ষার্থী শর্মিলা জামান সেজুতি বলেন—

“আমরা দীর্ঘ ৩৭ দিন ধরে আন্দোলন চালালেও সরকার কিংবা ইউজিসি আমাদের দাবিগুলোর বিষয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। আলোচনায় বসারও কোনো উদ্যোগ নেয়নি। তাই আমরা অনশনের ডাক দিয়েছি। যদি অনশনে বসার পর শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়, তার দায়ভার প্রশাসনকেই নিতে হবে।”

-মোঃআশিকুল ইসলাম,বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...