বিজ্ঞাপন
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জানিয়েছে, শিক্ষার্থীদের আবেদন, অভিযোগকারী শিক্ষকদের ইতিবাচক সুপারিশ এবং তদন্ত কমিটির প্রস্তাবের ভিত্তিতে ২৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখে এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। প্রশাসনের মতে, এটি ক্যাম্পাসে সৌহার্দ্য ও সমঝোতা পুনঃস্থাপনের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
গত ১০ জুলাই ম্যানেজমেন্ট বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী রফিক বিন সাদেক রেসাদকে ছাত্রলীগের সম্পৃক্ততার অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের সময় ভুল বোঝাবুঝি সৃষ্টি হয়। এই সময় ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান এবং সহকারী প্রক্টর মো. শফিকুল ইসলাম পরিস্থিতি সামাল দিতে গিয়ে অপ্রীতিকর অবস্থার মুখোমুখি হন। এছাড়া বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের (বাগছাস) তিন নেতা—ফারুক, ফয়সাল মুরাদ ও ফেরদৌস শেখ—ঘটনায় জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন মাহমুদুলসহ পাঁচজন শিক্ষার্থীর ওপর শাস্তি আরোপ করে।
ছাত্রকল্যাণ উপদেষ্টা ড. এ কে এম রিফাত হাসান বলেন, “মাহমুদুল একজন প্রতিশ্রুতিশীল শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতা। ঘটনাটি একটি ভুল বোঝাবুঝির ফল। শিক্ষার্থীদের আবেদন ও তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা শাস্তি প্রত্যাহারের সুপারিশ করেছি। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে মাহমুদুল ক্যাম্পাসে গঠনমূলক ভূমিকা পালন করবেন।”
প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তাজাম্মুল হক বলেন, “তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন এবং শিক্ষকদের সুপারিশ অনুযায়ী শাস্তি প্রত্যাহার করা হয়েছে। এটি ক্যাম্পাসে শান্তি ও সৌহার্দ্য ফিরিয়ে আনার একটি উদ্যোগ।”
মাহমুদুল হাসান নিজেও বলেন, “ঘটনাটি কেবল একটি ভুল বোঝাবুঝির কারণে ঘটেছিল। শিক্ষকদের সুপারিশ ও প্রশাসনের সিদ্ধান্তের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। ভবিষ্যতে ক্যাম্পাসের শান্তি ও শিক্ষার পরিবেশ বজায় রাখতে আমি ইতিবাচক ভূমিকা রাখব।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...