সীমানা পরিবর্তন হলো ৪৬ সংসদীয় আসনের

---

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসনের সীমানায় বড় ধরনের পরিবর্তন এনেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। দাবি-আপত্তি আহ্বান করার পর মোট ৮৪টি আসনের আবেদন জমা পড়ে। এসব শুনানি শেষে ৪৬টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করেছে কমিশন। এর আগে ৩০ জুলাই খসড়া তালিকায় ৩৯টি আসনে পরিবর্তন আনা হয়েছিল। খসড়ার ওপর পাওয়া মোট ১ হাজার ৮৯৩টি দাবি-আপত্তির শুনানি চলে ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত। শুনানি শেষে নতুন গেজেটে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৫৪টি আসনের সীমানা অপরিবর্তিত রাখা হয়, আর বাকি ৪৬টিতে পরিবর্তন আনা হয়।

ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ স্বাক্ষরিত গেজেটে জানানো হয়, এবার গাজীপুরে গতবারের চেয়ে একটি আসন বাড়িয়ে ৬টি করা হয়েছে। অন্যদিকে বাগেরহাটে একটি আসন কমে ৩টিতে নামানো হয়েছে। নির্বাচন কমিশনার মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার জানান, খুব সুচারুভাবে বিশেষায়িত কমিটির মাধ্যমে সীমানা নির্ধারণ করা হয়েছে। সবচেয়ে জটিল কাজটি শেষ হওয়ায় এখন নির্বাচন প্রস্তুতির অন্যান্য কার্যক্রম দ্রুত শেষ করা সম্ভব হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

যেসব আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়েছে সেগুলো হলো— পঞ্চগড়-১ ও ২, রংপুর-১ ও ৩, সিরাজগঞ্জ-১ ও ২, পাবনা-১ ও ২, বাগেরহাট-১, ২ ও ৩, সাতক্ষীরা-২, ৩ ও ৪, মানিকগঞ্জ-২ ও ৩, ঢাকা-২, ৪, ৫, ৭, ১০ ও ১৪, গাজীপুর-১, ২, ৩, ৫ ও ৬, নারায়ণগঞ্জ-৩, ৪ ও ৫, ফরিদপুর-২ ও ৪, শরীয়তপুর-২ ও ৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও ৩, কুমিল্লা-১, ২, ৬ ও ১০, নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫ এবং চট্টগ্রাম-৭ ও ৮। তবে খসড়ায় পরিবর্তন হওয়া ঢাকা-৩, কুমিল্লা-৯, ঢাকা-১৯ ও সিলেট-১ আগের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

সব মিলিয়ে দেখা যাচ্ছে, গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তুলনায় এবার আসনসীমা পরিবর্তন তুলনামূলক বেশি হয়েছে। চূড়ান্ত এই তালিকা প্রকাশের মাধ্যমে ইসির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ সম্পন্ন হলো, যা আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিকে আরও ত্বরান্বিত করবে।