বিজ্ঞাপন
যদিও প্রার্থীর সংখ্যা ৪৩ জন, তবে ক্যাম্পাসের উৎসবমুখর প্রচারণা ও গণমাধ্যমে আলোচনায় রয়েছেন হাতে গোনা কয়েকজন। সরাসরি প্রচারণা, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও টকশোতে অংশগ্রহণের মাধ্যমে ইতোমধ্যেই তারা নিজেদের আলাদা পরিচিতি গড়ে তুলেছেন।
ভিপি পদে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছেন— ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আবিদুল ইসলাম খান, ছাত্রশিবির সমর্থিত ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের সাদিক কায়েম, বাগছাস সমর্থিত বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের আব্দুল কাদের, স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্যের উমামা ফাতেমা, বামজোটের প্রতিরোধ পর্ষদের শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি, ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত ডাকসু ফর চেঞ্জ প্যানেলের বিন ইয়ামীন মোল্লা, স্বতন্ত্র প্রার্থী শামীম হোসেন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত সচেতন শিক্ষার্থী সংসদের ইয়াছিন আরাফাত, সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদের জামালুদ্দীন মুহাম্মাদ খালিদ।
মনোনয়ন যাচাই-বাছাই শেষে ২১ আগস্ট রাতে বৈধ প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে ডাকসু নির্বাচন কমিশন। প্রার্থীদের নাম বাংলা অক্ষরক্রম অনুযায়ী সাজানো হয়েছে।
প্রথম ব্যালটে রয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুল ওয়াহেদ, আরবি বিভাগের শিক্ষার্থী ও সূর্যসেন হলের আবাসিক। তার পরেই ব্যালট নম্বর ২ এ আছেন বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের আব্দুল কাদের।
ব্যালট নম্বর ৬-এ আছেন আলোচিত নারী প্রার্থী উমামা ফাতেমা, যিনি নারীবান্ধব ক্যাম্পাস গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। ১৯ নম্বর ব্যালটে রয়েছেন আলোচিত ছাত্র অধিকার পরিষদ সমর্থিত বিন ইয়ামীন মোল্লা।
প্রধান ছাত্রসংগঠনগুলোর প্রার্থী হিসেবে ২১ নম্বরে ছাত্রদল সমর্থিত আবিদুল ইসলাম খান, ২২ নম্বরে ছাত্রশিবির সমর্থিত সাদিক কায়েম এবং ২৪ নম্বরে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন সমর্থিত ইয়াছিন আরাফাত লড়ছেন।
এছাড়া, স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ব্যালট নম্বর ৪২-এ রয়েছেন শামীম হোসেন, যিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক আলোচনায়। আর ৪৪ নম্বর ব্যালটে রয়েছেন বামজোট সমর্থিত শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো, ব্যালট নং ৮ প্রার্থী জালাল আহমদ এবং ব্যালট নং ২৬ প্রার্থী জুলিয়াস সিজার অবৈধ ঘোষিত হওয়ায় তাদের স্থান ফাঁকা রাখা হয়েছে।
ক্যাম্পাসে নারী ভোটার সংখ্যাধিক্যের কারণে নারী প্রার্থীদের দিকেও নজর রয়েছে। বিশেষ করে উমামা ফাতেমা, জান্নাতি বুলবুল এবং শেখ তাসনিম আফরোজ ইমি ইতোমধ্যেই শিক্ষার্থীদের মধ্যে আলোচনায় রয়েছেন।
ডাকসুর সাবেক জিএস ও জাসদ নেতা মুশতাক হোসেন বলেন, “শিক্ষার্থীরা সবসময় যোগ্যতা ও আদর্শ বিচার করে ভোট দেন। তবে এবারের পরিস্থিতি ভিন্ন। ভোট ভাগাভাগি হলে স্বল্প পরিচিত কেউও জিতে যেতে পারে।”
অন্যদিকে সাবেক ভিপি ও নাগরিক ঐক্যের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না মনে করেন, “কর্তৃপক্ষনির্ভর ভোট নিয়ন্ত্রণ হলে পছন্দের প্রার্থী জয়ী হবেন। তবে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড হলে অতি-আলোচিত প্রার্থীরাও হেরে যেতে পারেন।”
নির্বাচনের মাঠে প্রচারণা যত এগোচ্ছে, ততই উত্তেজনা বাড়ছে শিক্ষার্থীদের মধ্যে। বড় দলগুলোর প্রার্থীদের নির্দিষ্ট ভোটব্যাংক থাকলেও শেষ মুহূর্তে চমক আসার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বরের ভোটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সিদ্ধান্ত দেবেন, কে হবেন ডাকসুর পরবর্তী ভিপি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...