ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) সকালে পশ্চিমদিক থেকে শুরু হওয়া শোভাযাত্রাটি দোয়েল চত্বর, শিক্ষা ভবন ও কদম ফোয়ারা সড়ক প্রদক্ষিণ করে আবার পশ্চিম গেট দিয়ে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে শান্তি মহাসমাবেশে মিলিত হয়।
ভোর থেকেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে লাখো ধর্মপ্রাণ সুফিবাদী জনতা সমবেত হন। এবার ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.) উপলক্ষে বিশেষভাবে উদযাপিত হলো মহানবী (দ.)-এর ১৫০০ বর্ষপূর্তি।
শোভাযাত্রার অগ্রভাগে বড় অক্ষরে লেখা ছিল ‘ইয়া নবী সালামু আলাইকা’, ‘ইয়া রাসূল সালামু আলাইকা’। অংশগ্রহণকারীরা হাতে কালেমা খচিত পতাকা, প্ল্যাকার্ড ও ফেস্টুন বহন করেন এবং বিশাল জাতীয় পতাকা নিয়ে রাজধানীর রাস্তাঘাট মুখরিত করেন। চারদিকে ধ্বনিত হচ্ছিল নারায়ে তাকবীর ও নারায়ে রিসালতের স্লোগান। অংশগ্রহণকারীদের অধিকাংশের পোশাক ছিল সাদা টিশার্ট ও মাথায় সাদা ক্যাপ।
শোভাযাত্রার পর শান্তি সমাবেশে বক্তব্য দেন বিএসপি চেয়ারম্যান ড. সৈয়দ সাইফুদ্দীন আহমদ মাইজভাণ্ডারী। তিনি বলেন, “মহানবী (দ.) সমগ্র মানবজাতির জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ রহমত। তার আদর্শ অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণ, ন্যায়ভিত্তিক ও কল্যাণকর সমাজ গড়ে তোলা সম্ভব। রাসূলুল্লাহ (দ.) আমাদের সম্প্রীতি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার দীক্ষা দিয়েছেন। অথচ আজ পৃথিবী জুড়ে চলছে যুদ্ধ-বিগ্রহ, সন্ত্রাস ও অমানবিকতা। স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার একমাত্র পথ হলো প্রিয় নবীর শিক্ষা বাস্তবায়ন।”
বিএসপি চেয়ারম্যান আরও বলেন, “আমাদের উচিত ঈদে মিলাদুন্নবী (দ.)-এর পবিত্র বার্তা হৃদয়ে ধারণ করে ব্যক্তি, পরিবার ও রাষ্ট্রীয় জীবনে তা প্রয়োগ করা। তবেই সমাজে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও মানবিকতার আলো ছড়িয়ে পড়বে।”
শান্তি সমাবেশে নারীদেরও অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। অনুষ্ঠানটি ছিল সৌহার্দ্যপূর্ণ ও ধর্মপ্রাণ জনসাধারণের ব্যাপক উপস্থিতিতে উদযাপিত।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...