বিজ্ঞাপন
শিশুর জন্মের পর ধাপে ধাপে তার বৃদ্ধি ও বিকাশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো ভাষা ও কথা বলার ক্ষমতা। সাধারণভাবে এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে শিশুরা ছোট ছোট শব্দ উচ্চারণ করতে শেখে এবং দুই বছর বয়সের মধ্যে বাক্য গঠন শুরু করে। তবে অনেক সময় দেখা যায়—শিশু নির্দিষ্ট সময়ে কথা বলা শুরু করে না, যা অভিভাবকের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
দেরিতে কথা বলার সম্ভাব্য কারণ:
শ্রবণ সমস্যা: কানে সমস্যা থাকলে শিশু আশপাশের শব্দ স্পষ্টভাবে শুনতে পারে না, ফলে কথা বলায় দেরি হয়।
পারিবারিক ইতিহাস: পরিবারে যদি কারো ছোটবেলায় দেরিতে কথা বলার অভ্যাস থাকে, তবে শিশুর ক্ষেত্রেও একই প্রবণতা দেখা যেতে পারে।
অটিজম স্পেকট্রাম ডিসঅর্ডার (ASD): এতে শিশুর সামাজিক যোগাযোগ ও ভাষা বিকাশে সমস্যা দেখা দেয়।
ডেভেলপমেন্টাল ডিলে: কিছু শিশু স্বাভাবিকভাবেই ধীর গতিতে বেড়ে ওঠে।
কম সামাজিক যোগাযোগ: নিয়মিত কথোপকথনের পরিবেশ না থাকলে ভাষা বিকাশে বাধা তৈরি হতে পারে।
সতর্ক হওয়ার লক্ষণ:
দেড় বছর বয়সেও কোনো শব্দ না বলা
দুই বছর বয়সেও দুই শব্দের বাক্য গঠন করতে না পারা
প্রয়োজন বোঝাতে শুধু ইশারার উপর নির্ভর করা
আশপাশে শব্দ বা কথা শুনেও প্রতিক্রিয়া না দেওয়া
কথা বলা বা শব্দ উচ্চারণে স্থির অগ্রগতি না হওয়া
করণীয়:
শিশুর সঙ্গে নিয়মিত কথা বলা, গল্প বলা ও গান গাওয়া
শ্রবণ পরীক্ষা করানো
প্রয়োজনে স্পিচ ল্যাঙ্গুয়েজ থেরাপিস্টের পরামর্শ নেওয়া
মোবাইল বা টিভির ব্যবহার (স্ক্রিন টাইম) কমানো
শিশুকে পর্যবেক্ষণ করা এবং অস্বাভাবিক বিলম্ব হলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া
শিশুর দেরিতে কথা বলা সবসময় জটিল সমস্যার ইঙ্গিত নয়। তবে বিষয়টি অবহেলা না করে সচেতনভাবে পর্যবেক্ষণ করা জরুরি। সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নিলে শিশুর সুস্থ বিকাশ নিশ্চিত করা সম্ভব।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...