বিজ্ঞাপন
রোববার দুপুরে ফরিদপুর প্রেস ক্লাবের হলরুমে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন তরুণ সংগঠক আবরাব নাদিম ইতু। এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সদস্য সচিব সোহেল রানা, এনসিপি নেতা সাইফ খান, সংগঠক মেহেদী ইবনে ইলিয়াস, জনি বিশ্বাসসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে আবরাব নাদিম অভিযোগ করেন, বিস্ফোরক আইনে স্পষ্টভাবে বলা আছে— কোনো ফিলিং স্টেশন কেবলমাত্র গাড়িতে গ্যাস রিফিল করতে পারবে। কিন্তু ফরিদপুরে অন্তত সাতটি স্থানে সিলিন্ডারে অবৈধভাবে গ্যাস রিফিল করা হচ্ছে। এসব স্থানে পুরোনো ক্যাপ বারবার ব্যবহার করা হচ্ছে, সিলিন্ডারের কার্যক্ষমতা পরীক্ষা করা হচ্ছে না এবং বিভিন্ন কোম্পানির লোগো ব্যবহার করে বাজারজাত করা হচ্ছে। এতে যে কোনো সময় ভয়াবহ দুর্ঘটনার আশঙ্কা রয়েছে।
তিনি আরও জানান, গত শনিবার রাতে নগরকান্দার ঢাকা–বরিশাল মহাসড়কসংলগ্ন মেসার্স তোফাজুদ্দিন ফিলিং স্টেশনে অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রিফিল করার ঘটনা তারা হাতেনাতে ধরেন। পরে নগরকান্দা থানার ওসি, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পরিবেশ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাকে ফোন করেও কোনো সাড়া পাননি।
সংবাদ সম্মেলন থেকে চার দফা দাবি উত্থাপন করা হয়—
১। দুই কার্যদিবসের মধ্যে অবৈধভাবে গ্যাস সিলিন্ডার রিফিল বন্ধ ও অবৈধ কারখানাকে আইনের আওতায় আনা।
২। বাজার থেকে অবৈধ সিলিন্ডার শনাক্ত করে জব্দ করা।
৩। অবৈধভাবে গ্যাস রিফিলের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা।
৪। রাজস্ব সুরক্ষা ও ভোক্তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন ছাত্র সমাজের প্রতিনিধিরা।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক মো. কামরুল হাসান মোল্যা বলেন, “এ ধরনের কার্যক্রম বন্ধে নিয়মিত তদারকির পাশাপাশি ধারাবাহিকভাবে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...