বিজ্ঞাপন
নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খায়রুল ইসলাম জানান, ইউনিয়ন বিএনপির উদ্যোগে ৬ সেপ্টেম্বর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নে গণসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় মালয়েশিয়া প্রবাসী হান্দলা গ্রামের হুমায়ুন শেখের লোকজন আব্দুর রহিমকে তাদের সঙ্গে সমাবেশে যোগ দিতে বলেন।
তবে, আব্দুর রহিম সমাবেশে যোগ দিতে অনীহা প্রকাশ করেন। কারণ, বিগত ১৬ বছর ধরে হুমায়ুন শেখ আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় ছিলেন এবং বিভিন্ন নির্বাচনে প্রার্থীদের অন্যতম ডোনার ছিলেন। ৫ আগস্টের পর হঠাৎ হুমায়ুন নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হওয়ায় আব্দুর রহিম সমাবেশে অংশ নিতে চায়নি। এর ফলে ক্ষিপ্ত হয়ে হুমায়ুন শেখের লোকজন আব্দুর রহিমকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। তার বাম পায়ে একটি, ডান পায়ে দুটি এবং কোমরে একটি কোপের আঘাত রয়েছে। ভুক্তভোগীর শারীরিক অবস্থা অনুযায়ী তাকে অন্তত ২০টি সেলাই দিতে হয়েছে।
জখম আব্দুর রহিম ও নোয়াগ্রাম ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি খায়রুল ইসলাম অভিযোগ করেন, নাজির, উজির, এনামুল, শিপন, আহাদ ও কাইয়ূম নামের প্রতিপক্ষরা এ হামলা চালিয়েছে। তবে, হুমায়ুন শেখ বর্তমানে মালয়েশিয়ায় থাকায় তার বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া, অভিযুক্তরা পলাতক থাকায় তাদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে।
লোহাগড়া থানার ওসি শরিফুল ইসলাম জানান, অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, “এ এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ সতর্ক রয়েছে।”
প্রতিবেদক- মো. নূরুন্নবী সামদানী, নড়াইল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...