বিজ্ঞাপন
ফ্রান্সজুড়ে প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর পদত্যাগের দাবিতে ব্যাপক বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাজধানী প্যারিসসহ বিভিন্ন শহরে হাজারো মানুষ রাস্তায় নেমে সরকারের নীতি ও বাজেট কর্তনের প্রতিবাদ জানায়।
বিক্ষোভকারীরা সড়ক অবরোধ করে, যান চলাচল ব্যাহত করে এবং আবর্জনার পাত্রে আগুন ধরিয়ে দেয়। পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে একাধিক এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে হাজার হাজার নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। দেশজুড়ে প্রায় ৩০০ বিক্ষোভকারীকে আটক করেছে পুলিশ।
রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেই প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ তার ঘনিষ্ঠ সহযোগী সেবাস্তিয়ান লেকর্নুকে নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নিয়োগ দেন। তবে এ সিদ্ধান্ত আন্দোলনকারীদের ক্ষোভ কমাতে পারেনি। বরং বিরোধীদলগুলো সংসদে সরকারবিরোধী অবস্থানে একত্রিত হয়েছে।
প্যারিসে এক বিক্ষোভে সিজিটি ইউনিয়নের আরএটিপি পরিবহন শাখার প্রতিনিধি ফ্রেড বলেন, “সমস্যা মন্ত্রীদের নয়, সমস্যা ম্যাক্রোঁ। তাকে অবশ্যই বিদায় নিতে হবে।”
শিক্ষার্থীরাও আন্দোলনে যুক্ত হয়। রাজধানীর একটি উচ্চ বিদ্যালয় অবরোধকারী শিক্ষার্থীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করে। গ্যারে ডু নর্ড ট্রেন স্টেশনে প্রায় এক হাজার বিক্ষোভকারীকে প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়।
১৮ বছর বয়সী শিক্ষার্থী লিসা ভেনিয়ার বলেন, “আমি আশা করেছিলাম সংসদ ভেঙে দেওয়া হবে বা বামপন্থী প্রধানমন্ত্রী আসবেন। কিন্তু কিছুই হলো না। এটি হতাশাজনক।”
অন্যদিকে রেনেস শহরে বিক্ষোভকারীরা একটি বাসে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং পুলিশের ওপর পাথর নিক্ষেপ করে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, ‘ব্লক এভরিথিং’ আন্দোলন কোনো একক দলের নয়; বরং এটি একটি ছত্রছায়াহীন গণঅসন্তোষ। প্রথমে ডানপন্থীরা আন্দোলন শুরু করলেও পরবর্তীতে বাম ও অতি-বাম গোষ্ঠী নেতৃত্ব নেয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমকে ব্যবহার করে আন্দোলন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...