বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে ঢাকা-খুলনা ও ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে অবস্থান নিলে রাজধানীর সঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক যোগাযোগ প্রায় অচল হয়ে পড়ে।
হাইওয়ে পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সকাল সাড়ে ৬টা থেকে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের মনসুরাবাদ এলাকায় প্রায় ৬০–৭০ জন এবং একই মহাসড়কের আলগী ইউনিয়নের সুয়াদি এলাকায় আরও প্রায় ১২০ জন মহাসড়কে বসে বিক্ষোভ শুরু করেন। অপরদিকে সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কের হামিরদী ইউনিয়নের পুখুরিয়া, হামিরদী ও নওয়াপাড়া এলাকায় শতাধিক মানুষ গাছের গুঁড়ি ফেলে সড়ক অবরোধ করেন। এতে ঢাকাগামী বাস, ট্রাক, মাইক্রোবাসসহ শত শত যানবাহন মহাসড়কে আটকা পড়ে যায়। সকাল সাড়ে ৭টার পর ভাঙ্গা গোলচত্বরেও বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেন।
অবরোধ চলাকালে আন্দোলনকারীরা জানান, আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার গেজেট তারা মানবেন না। আন্দোলনকারীরা হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “ভাঙ্গা থাকবে ভাঙ্গাতেই—এই দাবিতে আমরা যতদিন প্রয়োজন, ততদিন রাস্তায় থাকব।”
ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রোকিবুজ্জামান জানান, ভোর থেকে দুটি মহাসড়কেই কয়েকশ মানুষ বসে আছে। তারা দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত রাস্তা ছাড়বেন না বলে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে। এত বড় জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ করা পুলিশের জন্যও কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন ভাঙ্গার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করে গেজেট প্রকাশ করে। এ সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে গত কয়েক দিনে ভাঙ্গায় একাধিকবার মহাসড়ক অবরোধ, মানববন্ধন ও হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...