বিজ্ঞাপন
বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. সাইফুল আলম এ আদেশ দেন।
গত বছরের ৩০ মে বরগুনার বিশেষ জজ আদালতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুদকের পটুয়াখালী সমন্বিত কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রাসেল রনি।
মামলা সূত্রে জানা যায়, দুদকের অনুসন্ধানকালে মাসুদের গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ টাকা। যেখানে তার নিজের নামে ২ কোটি ২ লাখ ৬১ হাজার ২০২ টাকার সম্পদ ও স্ত্রী খাদিজা আক্তারের নামে ২২ লাখ ৭ হাজার ১৫৫ টাকার সম্পদের তথ্য পাওয়া যায়।
এ ছাড়া, ৩২ লাখ ৫৯ হাজার ৯৯৩ টাকা ঋণ বাদে তার নিজ নামে ও স্ত্রীর নামে অর্জিত নিট সম্পদ পাওয়া গেছে ১ কোটি ৯২ লাখ ৮ হাজার ৩৬৪ টাকা। মাসুদ পারিবারিক ব্যয় দেখিয়েছেন ২৫ লাখ ৫৪ হাজার ১৪৩ টাকা। মাসুদের ও স্ত্রীর নামে অর্জিত মোট সম্পদের মূল্য তদন্তে পাওয়া গেছে ২ কোটি ১৭ লাখ ৬২ হাজার ৫০৭ টাকা। তদন্তে ৫৪ লাখ ৭৪ হাজার ৬০২ টাকা আয় ব্যতীত তার নিজ ও স্ত্রীর নামে অর্জিত জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের মূল্য পাওয়া গেছে ১ কোটি ৬২ লাখ ৮৭ হাজার ৯০৫ টাকা।
আসামি মাসুদেরর দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৪১ লাখ ৬৭ হাজার ৮৩২ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্য দিয়েছেন।
এ বিষয়ে জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট মো. নুরুল আমিন বলেন, “তদন্ত করে বৃহস্পতিবার আদালতে চার্জশিট দিয়েছে দুদক। আদালত চার্জশিট গ্রহণ করে বরগুনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সাবেক নাজির মোহাম্মদ আল মাসুদ করিম এবং তার স্ত্রী খাদিজা বেগমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...