বিজ্ঞাপন
অভিযোগে জানা যায়, ১০ সেপ্টেম্বর শৌচাগার পরিষ্কার করার নির্দেশ অমান্য করে স্কুল থেকে পালিয়ে যায় মারজানা। পরে প্রধান শিক্ষক তাকে ধরে এনে বেত্রাঘাত করেন। এতে মারজানার শরীরের বিভিন্ন স্থানে লালচে দাগ পড়ে যায়। পরদিন ১১ সেপ্টেম্বর ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর মা মাসুমা বেগম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগে আরও বলা হয়, প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী দীর্ঘদিন ধরে শিশু শিক্ষার্থীদের দিয়ে স্কুলের শৌচাগার ও শ্রেণিকক্ষ পরিষ্কার করিয়ে আসছেন। এ ঘটনায় আজ বিদ্যালয় চত্বরে অভিভাবকরা সমবেত হয়ে বিক্ষোভ জানান এবং প্রধান শিক্ষকের শাস্তি ও অপসারণ দাবি করেন।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী নির্যাতনের অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, শৌচাগার পরিষ্কার করাও শিক্ষার্থীদের জন্য শিক্ষার অংশ। এজন্য আমরা প্রতি বুধবার শিক্ষার্থীদের দিয়ে পরিষ্কার করাই।
এ বিষয়ে বরগুনা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানান, অভিযোগ হাতে পাওয়া গেছে। তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে, তদন্ত শেষে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ছোট্ট শিক্ষার্থীর প্রতি এমন নির্যাতন শুধু পরিবার নয়, পুরো সমাজকেই ব্যথিত করেছে। শিশুরা স্কুলে আসে শেখার জন্য, শাস্তি বা অপমানের জন্য নয় এমন মন্তব্য করছেন অনেকেই।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...