বিজ্ঞাপন
শনিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল সোয়া পাঁচটার দিকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিক।
ঘোষণা অনুযায়ী, আগামী ১৪ থেকে ১৬ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত টানা তিন দিন প্রতিদিন সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভাঙ্গা উপজেলায় সড়ক ও রেলপথ অবরোধ করা হবে। এ ছাড়া ১৭ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন বরাবর স্মারকলিপি হস্তান্তর করা হবে। দাবি পূরণ না হলে ধাপে ধাপে কর্মসূচি আরও কঠিন থেকে কঠোরতম হবে বলে সতর্ক করেন নেতারা। শেষ পর্যন্ত দাবি মানা না হলে ভাঙ্গার সব রাজনৈতিক দল মিলে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বর্জনের ঘোষণাও আসতে পারে বলে হুমকি দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে বক্তারা অভিযোগ করেন, নির্বাচন কমিশন অযৌক্তিকভাবে ভাঙ্গা উপজেলার দুটি ইউনিয়নকে বিভক্ত করে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার ষড়যন্ত্র করছে। এ সিদ্ধান্ত অবিলম্বে প্রত্যাহার না করলে আন্দোলনকারীরা রক্ত দিয়ে হলেও পূর্বের অবস্থান রক্ষা করবেন বলে ঘোষণা দেন। পাশাপাশি তাঁরা আইনি লড়াই চালিয়ে যাওয়ারও অঙ্গীকার করেন।
ভাঙ্গা উপজেলায় রয়েছে ১টি পৌরসভা ও ১২টি ইউনিয়ন। এ উপজেলা আগে একটি স্বতন্ত্র সংসদীয় আসনের অন্তর্ভুক্ত ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালে ফরিদপুরের আসন সংখ্যা পাঁচ থেকে কমিয়ে চারটি করা হলে ভাঙ্গার সঙ্গে সদরপুর ও চরভদ্রাসন উপজেলা যুক্ত করা হয়। সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের প্রকাশিত গেজেটে দেখা যায়, আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে একীভূত করা হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ভাঙ্গা পৌর শহরের হাসপাতাল গেট থেকে রেললাইন, পুলিয়া বাসস্ট্যান্ড, হামিরদী ইউনিয়নের পুকুরিয়া রেলক্রসিং, পুকুরিয়া বাসস্ট্যান্ড, মনসুরাবাদ বাসস্ট্যান্ড, হামিরদী বাসস্ট্যান্ড, মাধবপুর বাসস্ট্যান্ড এবং আলগী ইউনিয়নের সুয়াদি বাসস্ট্যান্ড এলাকায় সকাল-সন্ধ্যা শান্তিপূর্ণ অবরোধ কর্মসূচি পালন করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন হামিরদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়া, উপজেলা বিএনপি সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক আইয়ুব মোল্লা, পৌর বিএনপি সদস্য মিজানুর রহমান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি মেজর (অব.) জাহাঙ্গীর আলম, উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আমির সরোয়ার হোসেন, ইসলামী আন্দোলনের উপজেলা সেক্রেটারি আতিয়ার রহমান, খেলাফত মজলিসের মুফতি জামির হোসেনসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা।
নেতারা দাবি জানান, কার মদদে নির্বাচন কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে তা খুঁজে বের করতে হবে এবং অবিলম্বে গেজেট বাতিল করতে হবে। অন্যথায় তাঁরা সর্বাত্মক আন্দোলনে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...