বিজ্ঞাপন
কক্সবাজার সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. ইলিয়াস খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, নিহত রঞ্জন চাকমা (৫৫) রাঙ্গামাটির বাসিন্দা। আর আটক ঘাতক বিরেল কয়েক মাস ধরে কক্সবাজারের ঝিলংজার উত্তরণ আবাসিক এলাকায় ভাড়া থাকতেন। নিহত দম্পতি রাঙ্গামাটি থেকে আনারস বিক্রির জন্য কক্সবাজারে এসেছিলেন এবং পরিচয়ের সুবাদে বিরেলের বাসায় আশ্রয় নিয়েছিলেন।
ওসি ইলিয়াস খান আরও জানিয়েছেন, শনিবার রাতে বিরেল ও রঞ্জন একসঙ্গে মদ্যপান করছিলেন। এ সময় বিরেল পাশের কক্ষে গিয়ে রঞ্জনের স্ত্রীকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। নিপীড়িত হয়ে স্ত্রী ঘরে বেরিয়ে এসে স্বামীকে বিষয়টি জানালে বিরেল ও রঞ্জনের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। এরপর বিরেল ছুরি দিয়ে রঞ্জনকে জবাই করে হত্যা করে এবং ব্যাগ নিয়ে পালানোর চেষ্টা করেন।
কিন্তু স্থানীয়রা রক্তমাখা অবস্থায় বিরেলকে আটক করেন। বাড়িতে গিয়ে তারা দেখেন রঞ্জনের মরদেহের পাশে অর্ধনগ্ন অবস্থায় কান্নায় ভেঙে পড়েছেন রঞ্জনের স্ত্রী। জিজ্ঞাসাবাদে ঘাতক হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেন। নিহতের স্ত্রীও একই কথা জানিয়েছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করে। আহত স্ত্রীকে ধর্ষণের আলামতের ভিত্তিতে হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিও উদ্ধার করা হয়েছে। মামলার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
স্থানীয়দের বরাতে জানা গেছে, বিরেল ও রঞ্জন স্থানীয় সুপারি বাগানে মজুরি করতেন। আবার কিছু সূত্র বলছে, রঞ্জন ও তার স্ত্রী আনারস বিক্রির জন্য কক্সবাজারে আসতেন। স্থানীয়রা মনে করছেন, আশ্রয় দেওয়া ঘাতক বাসায় স্ত্রীকে ধর্ষণ করতে গিয়ে বাকবিতণ্ডা শুরু হয় এবং রঞ্জনকে খুন করা হয়। চাকমা পরিবার হওয়ায় স্থানীয়রা তাদের বিষয়ে পূর্বে কোনও খোঁজখবর রাখতেন না।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...