বিজ্ঞাপন
অভিযোগ অনুযায়ী, গত ১৯ আগস্ট থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় প্রান্তিক মূল্যায়ন পরীক্ষায় গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার উলপুর ও সাহাপুর ক্লাস্টারের মোট ৬৪টি বিদ্যালয়ে ২য় থেকে ৫ম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে মাথাপিছু ৩০ থেকে ৫০ টাকা নেওয়া হয়েছে। সরকারি নীতিমালায় (পরিপত্র) স্পষ্টভাবে উল্লেখ রয়েছে, কোনো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পরীক্ষার নামে কোনো ফি নেওয়া যাবে না।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন প্রধান শিক্ষক জানিয়েছেন, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের নির্দেশে এই টাকা নেওয়া হয়েছে। কেউ কেউ একে ‘অনুদান’ হিসেবে দেখিয়ে দায় এড়ানোর চেষ্টা করেছেন।
উলপুর ক্লাস্টারের সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ রাজু আহমেদ এ বিষয়ে বলেন, “হ্যাঁ, আমি টাকা নিতে বলেছি। তবে এটা ফি নয়, অনুদান।” তবে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্র জানিয়েছে, সহকারী উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার এমন নির্দেশ দেওয়ার কোনো এখতিয়ার নেই।
সদর উপজেলা শিক্ষা অফিসার পরিমল চন্দ্র বালা জানান, এ বিষয়ে তিনি আগে অবগত ছিলেন না। অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার জোছনা খাতুন মন্তব্য করেন, “এটা উপজেলা শিক্ষা অফিসারের বিষয়।”
অভিযোগ জানার পর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এম রকিবুল হাসান উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
অভিভাবকরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, “সরকার বিনামূল্যে শিক্ষার ঘোষণা দিলেও বাস্তবে সন্তানদের পরীক্ষায় বসাতে টাকা দিতে হচ্ছে। না দিলে নানা অজুহাতে বাচ্চাদের হয়রানি করা হয়।”
শিক্ষা সচেতন মহল মনে করছে, সরকারি প্রাথমিক শিক্ষার মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে প্রকাশ্যে অর্থ আদায়ের ঘটনা ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য মারাত্মক হুমকি। তাই প্রশাসনের দ্রুত ও কঠোর হস্তক্ষেপই এ ধরনের অনিয়ম রোধের একমাত্র উপায়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...