বিজ্ঞাপন
ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ সাক্ষ্যগ্রহণ কার্যক্রম শুরু করেন। জানা গেছে, এ মামলায় জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলামও সাক্ষ্য দেবেন। তবে প্রসিকিউশন জানিয়েছে, তিনি মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) সাক্ষ্য দেবেন।
এর আগে, গত ৯ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এ মামলায় ৪৫ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। কেবল ২ সেপ্টেম্বরেই রাজসাক্ষী হিসেবে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন ট্রাইব্যুনালে জবানবন্দি দেন। তিনি স্বীকার করেন, শেখ হাসিনা ও কামালের নির্দেশে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনের সময় গণহত্যা সংঘটিত হয়। একইসঙ্গে ক্ষমা প্রার্থনা করে অনেক অপ্রকাশিত তথ্য প্রকাশ করেন তিনি।
সাক্ষীদের জবানবন্দি অনুযায়ী, গত বছরের জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দেশজুড়ে হত্যাযজ্ঞের বীভৎস চিত্র উঠে এসেছে। শহীদ পরিবারের সদস্য ও প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীরা আদালতে বলেন, এসব ঘটনার জন্য দায়ী শেখ হাসিনা, কামালসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া উচিত।
প্রসঙ্গত, গত ১০ জুলাই শেখ হাসিনা, কামাল ও চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর নির্দেশ দেন ট্রাইব্যুনাল। প্রসিকিউশন এ মামলায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি গুরুতর অভিযোগ এনেছে।
মামলার অভিযোগপত্রটি অত্যন্ত বৃহৎ আকারের। মোট ৮,৭৪৭ পৃষ্ঠার এ নথিতে রয়েছে— তথ্যসূত্র ২,০১৮ পৃষ্ঠা, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪,০০৫ পৃষ্ঠা এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২,৭২৪ পৃষ্ঠা। মামলার সাক্ষী তালিকায় রয়েছেন মোট ৮১ জন। এর আগে গত ১২ মে তদন্ত শেষে ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা অভিযোগ প্রতিবেদন চিফ প্রসিকিউটরের কাছে জমা দেয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...