বিজ্ঞাপন
নিহতরা হলেন—নড়াইলের লোহাগড়া থানাধীন লাহুড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক (এসআই) ও যশোরের বাঘারপাড়া পুকুরিয়া গ্রামের নিশিকান্ত আঢ্যের ছেলে নিক্কন আঢ্য, যশোর সদরের বসুন্দিয়া এলাকার আহমদ আলীর ছেলে আক্তার হোসেন এবং যশোর শহরতলীর ভেকুটিয়া এলাকার আব্দুল মজিদের ছেলে আবু জাফর।
তুলারামপুর হাইওয়ে পুলিশ জানায়, দুর্ঘটনার সময় ঢাকা থেকে যশোরগামী ‘নড়াইল এক্সপ্রেস’ নামের বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ভাঙুড়া বাজার এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাঁশবোঝাই ট্রাকের পেছনে ধাক্কা দেয়। এতে বাসের সামনের কাচ ভেঙে বাঁশের অগ্রভাগ বাসের ভেতরে ঢুকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই যাত্রী আক্তার হোসেন মারা যান।
গুরুতর আহত অবস্থায় যশোরের আরেক যাত্রী আবু জাফর ও পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কন আঢ্যকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নেওয়া হলে আবু জাফরকে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পুলিশ কর্মকর্তা নিক্কন আঢ্যকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পথে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়। পরে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ১২টার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নড়াইল জেলা পুলিশ জানায়, এসআই নিক্কন আঢ্য ৩৭তম ব্যাচের আউটসাইড ক্যাডেট হিসেবে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। তিনি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে লোহাগড়া থানার লাহুড়িয়া তদন্ত কেন্দ্রে দায়িত্ব নেন। এর আগে তিনি র্যাবের বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত ছিলেন। রোববার মুন্সিগঞ্জে আদালতে সাক্ষ্য দিয়ে ফেরার পথে এ দুর্ঘটনায় তিনি প্রাণ হারান।
মর্মান্তিক এ ঘটনায় নড়াইলের নবনিযুক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) নূর-ই-আলম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. আশরাফুল ইসলামসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা নড়াইল সদর হাসপাতালে গিয়ে শ্রদ্ধা জানান।
পুলিশের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, নিহত এসআই নিক্কন আঢ্যের পরিবারের সদস্যদের সম্মতিতে সোমবার সকালে নড়াইল জেলা পুলিশ লাইনসে মরদেহে গার্ড অব অনার ও ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে মরদেহ তার গ্রামের বাড়ি যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার পুকুরিয়া গ্রামে নেওয়া হয়। দুপুরে সেখানেই তার শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়।
প্রতিবেদক- মোঃ নুরুন্নবী সামদানী, নড়াইল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...