বিএনপি নেতা সারোয়ারকে রশিতে বেঁধে গণধোলাইয়ের ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে উপজেলার চরগাজী ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের চরলক্ষ্মী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পিটুনির শিকার ওই ব্যক্তির নাম গোলাম সারোয়ার ওরফে শনি সারোয়ার (৪৫)। তিনি স্থানীয় মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে এবং চরগাজী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক। সারোয়ারের তিন সন্তান রয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
স্থানীয় সূত্র জানায়, গোলাম সারোয়ারের সঙ্গে একই ওয়ার্ডের বাকের সরদারের মেয়ে তামান্না বেগমের (২২) দীর্ঘদিন ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তামান্নাকে পারিবারিকভাবে বিয়ে দেওয়া হলে সারোয়ার তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করেন এবং স্বামীর সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের জন্য চাপ দেন। অবশেষে দুই মাস আগে তামান্না স্বামীকে ডিভোর্স দেন এবং সারোয়ারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ বজায় রাখেন।
রোববার রাতে তামান্নার বাড়িতে গেলে তামান্নার জেঠারা তাদের অসামাজিক কাজে লিপ্ত অবস্থায় হাতেনাতে ধরে ফেলেন। খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত জনতা গোলাম সারোয়ারকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর আগেই সারোয়ারের সহযোগীরা তাকে এবং তামান্নাকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। ঘটনার পরপরই বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ তাদের।
চরগাজী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মীর ফরহাদ হোসেন ফস্তু বলেন, “ঘটনার খবর পেয়ে উপজেলা বিএনপি নেতাদের জানিয়েছি। সংগঠনের পক্ষ থেকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”
রামগতি উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. জামাল উদ্দীন জানান, ঘটনাটি জানার পরপরই গোলাম সারোয়ারকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, “খবর পেয়ে পুলিশ পাঠানো হলেও এর আগেই সারোয়ারকে তার সহযোগীরা পালিয়ে যেতে সহায়তা করে। তামান্নাকে থানায় আনা হয়েছে। তার অভিভাবকরা এলে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
ঘটনাটি এলাকায় ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, দলীয় পদে থেকে এমন অনৈতিক কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...