বিজ্ঞাপন
নিহত আনন্দ ঘোষ ওই গ্রামের মৃত সুধীর ঘোষের ছেলে। তার স্ত্রী মিতা ঘোষ জানান, বসত বাড়ির ছাদের পানি পড়াকে কেন্দ্র করে আনন্দ ঘোষের সঙ্গে তার আপন ভাই গৌরাঙ্গ ঘোষ (৫২), কালা ঘোষ (৫০) ও যুগল ঘোষ (৩০)-এর মধ্যে পূর্ব থেকেই বিরোধ চলে আসছিল। রোববার রাতে বৃষ্টির কারণে ছাদ থেকে পানি চুয়ে পড়লে ভাইদের মধ্যে বাক-বিতন্ডা শুরু হয়।
পরবর্তীতে গৌরাঙ্গ, কালা, যুগল ঘোষ ও ভাতিজা নয়ন ঘোষ ও সৌরভ ঘোষ লাঠি দিয়ে আনন্দ ঘোষকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। পরে পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী তাঁকে কোটালীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মিতা ঘোষ বলেন, “আমার স্বামীকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আমাকে বিধবা করেছে। আমি এ হত্যাকান্ডের ন্যায়বিচারের দাবিতে আছি।”
নিহতের স্কুল পড়ুয়া মেয়ে অথৈ ঘোষ বলেন, “আমার বাবা আমাকে নার্স বানাতে চেয়েছিলেন। আমার স্বপ্ন এখন আর পূরণ হবে না। আমার বাবাকে হত্যা করা হয়েছে। আমি হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবি জানাই।”
প্রতিবেশী বাচ্চু হাওলাদার জানান, এ ছাদের পানি নিয়ে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে একাধিকবার সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও কোনো সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়নি। “শেষ পর্যন্ত সামান্য পানি পড়াকে কেন্দ্র করে আনন্দকে জীবন দিতে হলো। এটা আমাদের এলাকার জন্য শোকজনক ঘটনা।”
নিহতের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর অভিযুক্ত গৌরাঙ্গ, কালা, যুগল, নয়ন ও সৌরভ ঘোষ গা ঢাকা দিয়েছেন। তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে, তাই তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
কোটালীপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার হাফিজুর রহমান বলেন, “গোপালগঞ্জ আড়াই শ’ বেড জেনারেল হাসপাতাল মর্গে ময়না তদন্ত শেষে আজ সোমবার দুপুরে মরদেহ পরিবারের হাতে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।”
প্রতিবেদক- মনোজ সাহা, গোপালগঞ্জ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...