বিজ্ঞাপন
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পৌর মাল্টিপারপাস মার্কেটের সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা স্থানীয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, গোপালগঞ্জ সদর হাসপাতাল ও গ্রাম্য চিকিৎসকের কাছে প্রাথমিক চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন।
এ ব্যাপারে গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সরোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেছেন, “সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেছে। এখন এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।”
স্থানীয়রা জানান, ঘটনার সূত্রপাত ঘটে গত ১২ সেপ্টেম্বর, যখন টুঙ্গিপাড়া উপজেলার পাটগাতী বাসস্ট্যান্ডে ডাব বেচাকেনা নিয়ে শ্রীরামকান্দি গ্রামের ডাব বিক্রেতা মোঃ হামজা (২৫) ও পাটগাতী সরদারপাড়া এলাকার ক্রেতা জিয়ারুল মোল্লার (২১) মধ্যে কথাকাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় দুই গ্রামের মুরব্বিদের সমন্বয়ে রোববার বিকেলে পৌর মাল্টিপারপাস মার্কেটে সালিশ বৈঠক ডাকা হয়।
সালিশ চলাকালীন সন্ধ্যায় মার্কেটের বাইরে দুই গ্রামের লোকজন জড়ো হন। একপর্যায়ে মাইকে ঘোষণা দিয়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষ শুরু হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে সংঘর্ষে টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি জাহিদুল ইসলাম, এসআই ও ৪ পুলিশ সদস্যসহ দুই গ্রামের অন্তত ২০ জন আহত হন। সংঘর্ষের সময় ফুটপাতের প্রায় ১০টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. সরোয়ার হোসেন বলেন, “ইটের আঘাতে টুঙ্গিপাড়া থানার ওসি সহ ৪ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। পরে গোপালগঞ্জ থেকে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নি; তবে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
প্রতিবেদক- মনোজ সাহা, গোপালগঞ্জ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...