বিজ্ঞাপন
আজ সোমবার দুপুরে ভ্রাম্যমান আদালতের বিচারক ও গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহরিয়ার আহমেদ এই আদেশ দেন। আদালতের কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান ইসলাম শোভন, গোপালগঞ্জের ড্রাগ সুপার বিথী রানী মণ্ডল, পুলিশ ও আনসার-ব্যাটালিয়ন সদস্যরা।
সাজাপ্রাপ্ত মো: রেজাউল করিম শেখ মুকসুদপুর উপজেলার আদমপুর গ্রামের আতর আলীর ছেলে। তার ব্যবস্থাপত্রে নামের আগে ‘ডাক্তার’ শব্দটি ও ‘ডি.এম.এ ঢাকা’ ডিগ্রি উল্লেখ করা হয়েছিল। তিনি কোমড়, বাত, হাটু ব্যথা, চর্ম, এলার্জি, ডায়াবেটিস, মা ও শিশু স্বাস্থ্য মেডিসিনে অভিজ্ঞ বলে দাবি করেছিলেন। এছাড়া বিভিন্ন অপারেশন ও দাঁত তোলার ক্ষেত্রে নিজেকে বিশেষজ্ঞ হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন।
মুকসুদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রায়হান ইসলাম শোভন জানান, মো: রেজাউল করিম শেখের কোনো বৈধ চিকিৎসা সনদ বা প্রশিক্ষণ নেই। তিনি নামের আগে ডাক্তার শব্দ ব্যবহার করে রোগী দেখতেন ও ব্যবস্থাপত্র লিখতেন। অস্বাস্থ্যকর টিনশেডের চেম্বারে রোগী ভর্তি রাখতেন এবং সেখানে লাইসেন্সবিহীন ওষুধ বিক্রি করতেন। ফার্মেসিতে বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধও মজুদ ছিল। এছাড়া রোগীদের অপ্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের অভিযোগও রয়েছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তার চেম্বারে প্রসূতি মৃত্যুর ঘটনা ও অঙ্গহানির অভিযোগ থাকলেও ভ্রাম্যমান আদালতের সময়ে এর কোন প্রমাণ পাওয়া যায়নি।
আদমপুর বাজারের বাসিন্দা তাইজুল হোসেন বলেন, “রেজাউল করিম ৯ বছর আগে আদমপুর নতুন বাজার মসজিদ এলাকায় আল করিম ফার্মেসী শুরু করেন। পরে চেম্বার খুলে ভূয়া ডিগ্রি ব্যবহার করে রোগী দেখতেন এবং প্রায়শই উচ্চমূল্যের এন্টিবায়োটিক লিখে দিতেন।”
ভ্রাম্যমান আদালতের দণ্ড কার্যকর হওয়ায় রেজাউল করিমকে গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
প্রতিবেদক- মনোজ সাহা, গোপালগঞ্জ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...