বিজ্ঞাপন
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কার্যালয়ের আওতায় ডিলার নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পর কার্যক্রম শুরু হয়েছে। গত ১৮ আগস্ট উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে উন্মুক্ত লটারির মাধ্যমে ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন হয়। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও প্রশাসনের উপস্থিতিতে এই নিয়োগ স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে সম্পন্ন হয়েছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
সাতুরিয়া ইউনিয়নের ডিলার মো. নাসির উদ্দীন অভিযোগ করেন, সম্প্রতি কিছু মহল সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, “পুরুষ ও নারীদের জন্য আলাদা লাইনে সপ্তাহে প্রতি সোমবার ও বুধবার নিয়মিতভাবে চাল বিতরণ করা হয়। কিন্তু মামুন হোসেন আকন নামের এক ব্যক্তি ডিলার নিয়োগে ব্যর্থ হওয়ায় আমাকে অর্ধেক শেয়ার দিতে বলছে। আমি রাজি না হওয়ায় আমাকে হয়রানি ও হুমকি দেওয়া হচ্ছে।”
চাল নিতে আসা আলকাজ, অশোক হালদার, কাজী নজরুল ইসলাম, মো. বাবলু, আলেয়া বেগম ও মনিরা আক্তারের মতো স্থানীয়রা জানিয়েছেন, ডিলার নাসির উদ্দীন নিয়ম মেনে চাল বিতরণ করছেন। তবে ভিড় বেশি হওয়ায় অনেক সময় লাইনে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করতে হয়।
অন্যদিকে অভিযুক্ত মামুন হোসেন আকন দাবি করেছেন, যাচাই-বাছাই পর্বে তার নাম থাকলেও লটারিতে সুযোগ পাননি। তিনি অভিযোগ করেছেন, সেখানে চাল সঠিকভাবে বিতরণ করা হয় না।
রাজাপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা শাহনাজ পারভীন বলেন, “উপজেলার সব ইউনিয়নে স্বচ্ছ ও নিয়মতান্ত্রিকভাবে ডিলার নিয়োগ সম্পন্ন হয়েছে। যারা নিয়োগ পাননি তাদের মধ্যে কিছু মহল মিথ্যা তথ্য ছড়িয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...