ফাইল ছবি।
বিজ্ঞাপন
সম্প্রতি এক গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সাদিক কায়েম স্পষ্ট ভাষায় বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে পোশাকের পছন্দ, ব্যক্তিগত পরিচয় বা প্রতীক নিয়ে কাউকে হেয় করা বা হস্তক্ষেপ করার কোনো সুযোগ নেই। তিনি বলেন, “হিজাব পরা শিক্ষার্থীর যেমন অধিকার আছে, তেমনি নন-হিজাব বা আধুনিক পোশাক পরা শিক্ষার্থীরও সমান অধিকার আছে। পোশাকের পছন্দ, ব্যক্তিগত পরিচয় বা কোনো সিম্বলকে অপরাধী করা—এসব একেবারেই চলবে না। যার যে অধিকার, যে চয়েস, যে রুচি—সে তাই করবে এবং তার স্বাধীনতায় কেউ হস্তক্ষেপ করতে পারবে না।”
নারী শিক্ষার্থীদের ভোট বেশি পাওয়ার কারণ জানতে চাইলে সাদিক বলেন, “আমাদের (শিবিরের) বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে যে প্রপাগান্ডা চালানো হয়েছিল, তা ভেঙে গেছে। জুলাই বিপ্লবের পর থেকে আমাদের কার্যক্রমের মাধ্যমে আমরা প্রমাণ করেছি, এ প্রতিশ্রুতি শুধু মুখের কথা নয়। নারীদের জন্য নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলা পর্যন্ত আমরা থামব না—এটাই আমাদের স্লোগান।”
তিনি আরও জানান, নির্বাচনী ইশতেহারে নারীদের নিরাপত্তা ও অধিকার নিশ্চিত করতে একাধিক প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। এর অংশ হিসেবে স্যানিটেশন, স্বাস্থ্যসেবা ও আবাসন-সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানে ইতোমধ্যে পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে এবং শিগগিরই বাস্তবায়ন শুরু হবে।
নারীরা কেন তার প্রতি আস্থা রেখেছেন—এ বিষয়ে সাদিকের মন্তব্য, “নারীরা যেমন নেতৃত্ব চান, তেমন নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের মধ্যেই তারা খুঁজে পেয়েছেন।”
গণমাধ্যমে এতদিন এসব উদ্যোগ যথাযথভাবে প্রচারিত হয়নি বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, “নারীর অধিকার, তাদের সুরক্ষা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাস গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি আমরা আগে থেকেই দিয়ে আসছি। কিন্তু বিগত সময়ে তা গণমাধ্যমে প্রকাশ পেতে দেওয়া হয়নি।”
শিবিরের বিজয়ে স্বাধীনতা খর্ব হওয়ার আশঙ্কা আছে কি না—এ প্রশ্নের জবাবে সাদিক কায়েম বলেন, “ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় একটি মাল্টিকালচারাল প্রতিষ্ঠান। এখানে স্বাধীনতা সীমিত করার কোনো সুযোগ নেই।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...