শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে আন্দোলকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখছেন বিএনপি নেতা খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম। ছবি : সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের অনুরোধে আন্দোলনকারীদের পক্ষে উপজেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার ইকবাল হোসেন সেলিম এই ঘোষণা দেন। বেলা ১২টার দিকে ভাঙ্গা কেন্দ্রীয় ঈদগাহ জামে মসজিদের সামনে আয়োজিত এক শান্তিপূর্ণ মিছিল শেষে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
এদিকে ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-২ আসনে সংযুক্ত করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চলমান আন্দোলনের সপ্তম দিনে মঙ্গলবার সকাল থেকে কোনো সড়ক অবরোধের খবর পাওয়া যায়নি। তবে বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান ও থেমে থেমে মিছিল করতে দেখা গেছে আন্দোলনকারীদের।
শহরের প্রধান সড়কগুলোতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর টহল জোরদার রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি সেনাবাহিনী, র্যাব ও বিজিবি’র সদস্যরা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে অবস্থান করছেন। ফরিদপুরের পুলিশ সুপার জানান, মানুষের স্বাভাবিক চলাচল ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে যৌথবাহিনীর টহল অব্যাহত থাকবে।
তিনি আরও জানান, গতকালের ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। তবে সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ধারণের পর দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এর আগে সোমবার তৃতীয় দফার লাগাতার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে উত্তপ্ত হয়েছিল ভাঙ্গা পৌরসভা ও আশপাশের এলাকা। দিনভর বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে এলাকাটি দানা বাধেছিল উত্তাপ। আন্দোলনকারীরা ভাঙ্গা থানা ইএনও অফিস, নির্বাচন অফিস ও ভাঙ্গা হাইওয়ে থানায় ব্যাপক ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে। রাতে ঢাকা রেঞ্জের ডিআইজি রেজাউল করিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রসঙ্গত, গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন গেজেটের মাধ্যমে ৩০০ আসনের চূড়ান্ত সীমানা নির্ধারণের তালিকা প্রকাশ করে। তালিকায় ভাঙ্গা উপজেলার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নকে ফরিদপুর-৪ আসন থেকে কেটে ফরিদপুর-২ আসনে যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এরপর থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...