বিজ্ঞাপন
রেল সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৪০ মিনিটে লালমনিরহাটগামী পদ্মরাগ কমিউটার ট্রেনটি ঢাকাগামী লালমনিরহাট এক্সপ্রেসের সঙ্গে ক্রসিং করার জন্য পীরগাছা রেলস্টেশনে ২নং লাইনে অবস্থান করছিল। ক্রসিং শেষে লালমনিরহাটের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করতে গেলে একটি পয়েন্ট ভেঙে ট্রেনের ছয়টি বগি লাইনচ্যুত হয়। তবে কোনো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি ঘটেনি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেনটি লাইন পরিবর্তনের পর প্রায় ৩০০ গজ পরই লাইনচ্যুত হয়। দুর্ঘটনার সময় ট্রেনে প্রায় দুই হাজার যাত্রী ছিলেন। অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, এই ঘটনায় তাদের মালামাল নষ্ট বা হারিয়ে গেছে।
পদ্মরাগ ট্রেনের এক যাত্রী নুরবানু বলেন, “আমি পাশের সিটে ব্যাগ রেখে বাথরুমে গেলাম। সেই সময় দুর্ঘটনা ঘটেছে। পরে ফিরে এসে দেখলাম আমার পাশের যাত্রী আর নেই।”
পীরগাছা রেলওয়ে স্টেশনের মাস্টার জেনারেল জেনারুল ইসলাম জানান, “দুপুর সাড়ে ১২টায় সান্তাহার থেকে লালমনিরহাটগামী পদ্মরাগ মেইল ট্রেনটি পীরগাছা স্টেশনে পৌঁছায়। বিরতির পর যাত্রা শুরু করলে আউটার সিগনাল এলাকায় লাইন সেপারেটরের প্লেট ভেঙে যায়, যার ফলে ইঞ্জিনের পেছনের তৃতীয় বগি থেকে চারটি বগি লাইনচ্যুত হয়।幸এই ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।”
তিনি আরও জানান, ট্রেন লাইনচ্যুত হওয়ায় সারা দেশের সঙ্গে রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনিরহাট এক্সপ্রেস, বুড়িমারি এক্সপ্রেস, কুড়িগ্রাম এক্সপ্রেস, মেইল ট্রেন দোলনচাঁপা, করতোয়া, পদ্মরাগ, রামসাগর, কমিউটার ও নাইনটিন আপ-ডাউনের যোগাযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। উদ্ধারকাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত এই রুটে এসব ট্রেন চলাচল করতে পারবে না।
ফলে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম জেলার সম্পূর্ণ এবং নীলফামারী, ঠাকুরগাঁও, পঞ্চগড়ের আংশিক যাত্রীরা নির্ধারিত সিডিউল অনুযায়ী গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছেন না।
রেল কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেন উদ্ধারের জন্য লালমনিরহাট থেকে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে জরুরি উদ্ধারকারী টিম পাঠিয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...