বিজ্ঞাপন
গ্রেপ্তারকৃত আরিফুল ইসলাম মদন সদর ইউনিয়নের দক্ষিণপাড়া গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে। তিনি মদন সদর ইউনিয়ন বিএনপির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। তবে গ্রেপ্তারের পরদিন রাতেই তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
মদন সেনা ক্যাম্প ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে আরিফুল নিজ এলাকা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসা ও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। তার বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় মোট ৯টি মামলা রয়েছে।
২০১৩ সালে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানার একটি ডাকাতি মামলায় তার বিরুদ্ধে আদালত গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া দ্রুত বিচার আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন ও অস্ত্র আইনে নেত্রকোনার মদন থানায় তিনটি মামলা রয়েছে। পাশাপাশি গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ থানায় একটি ডাকাতি মামলা, চট্টগ্রামের লোহাগড়া থানায় একটি মাদক মামলা, মাদারীপুর সদর থানায় একটি মারামারি মামলা, চট্টগ্রামের বোয়ালখালী সড়ক পরিবহন সংক্রান্ত একটি মামলা এবং নেত্রকোনা সদর থানায় একটি চুরি ও একটি মাদক মামলা রয়েছে।
পুলিশ জানায়, বুধবার বিকেলে নিজস্ব পরিবহন মাইজভান্ডারি বাসযোগে চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে রওনা হন আরিফুল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেনা ক্যাম্প কমান্ডার মো. শাহরিয়ার আহমেদের নেতৃত্বে বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাকে মদন থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শামসুল আলম শাহ বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত আরিফুল ইসলামের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। একটি মামলায় আদালত থেকে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি ছিল। বর্তমানে তাকে থানায় রাখা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠানো হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...