Logo Logo

রাজবাড়ীর নুরাল পাগলার দরবার থেকে লুটকৃত জেনারেটরসহ ১জন গ্রেফতার


Splash Image

রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নুরাল পাগলার দরবার থেকে জেনারেটর চুরির অভিযোগে মো. মিজানুর রহমান (২৪) নামে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকালে রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মো. শরীফ আল রাজীব এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


বিজ্ঞাপন


পুলিশ জানায়, বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে সদর উপজেলার মিজানপুর ইউনিয়নে অভিযান চালিয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ও গোয়ালন্দ ঘাট থানা-পুলিশ যৌথভাবে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে। মিজানুরের বাড়ি রাজবাড়ী সদর উপজেলার লক্ষ্মীকোল সোনাকান্দর গ্রামে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর নুরাল পাগলার দরবারে বিক্ষুব্ধ জনতা হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। এ সময় মিজানুর রহমান জেনারেটর চুরি করে নিয়ে যাচ্ছেন— এমন একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। পরে ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে তাকে শনাক্ত করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। মিজানুরকে দরবারে হামলা, ভাঙচুর, লুটপাট, অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো ও হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাকে রাজবাড়ীর আদালতে সোপর্দের প্রস্তুতি চলছে।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরীফ আল রাজীব বলেন, “নুরাল পাগলার দরবার থেকে জেনারেটর চুরি করে নিয়ে যান মিজানুর রহমান। ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”

তিনি আরও জানান, নুরাল পাগলার দরবারে হামলায় ভক্ত রাসেল মোল্লা নিহতের ঘটনায় নিহতের বাবা আজাদ মোল্লা অজ্ঞাতনামা সাড়ে ৩ থেকে ৪ হাজার জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। সোমবার রাতে গোয়ালন্দ ঘাট থানায় দায়ের করা মামলায় হত্যাসহ অগ্নিসংযোগ, লাশ পোড়ানো, ক্ষতিসাধন, চুরি ও জখমের অভিযোগ আনা হয়।

গত ২৩ আগস্ট মারা যান নুরুল হক ওরফে নুরাল পাগল। পরে তার ভক্তরা দরবারের ভেতরেই তাকে দাফন করে কবরের ওপর ১০-১২ ফুট উঁচু একটি স্থাপনা নির্মাণ করেন। স্থানীয়দের একাংশ অভিযোগ তোলে, ওই স্থাপনা মক্কার কাবা শরিফের মতো দেখতে। এ নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

৫ সেপ্টেম্বর জুমার নামাজের পর শত শত মানুষ দরবারে হামলা চালায় এবং নুরাল পাগলের মরদেহ কবর থেকে তুলে আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এ সময় নুরাল পাগলের অনুসারী ও ‘ঈমান-আকিদা রক্ষা কমিটি’র ব্যানারে স্থানীয়দের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এতে একজন নিহত ও একজন সাংবাদিকসহ ২২ জন আহত হন।

পুলিশ ও প্রশাসন বাধা দেওয়ার চেষ্টা করলে বিক্ষোভকারীরা ইউএনও, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং গোয়ালন্দ ঘাট থানার ওসির গাড়ি ভাঙচুর করে। এ সময় পাথর নিক্ষেপ ও হামলায় পাঁচ পুলিশ সদস্য ও দুই প্রশাসনিক কর্মকর্তা আহত হন।

এই ঘটনায় পুলিশ ও নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে পৃথক দুটি মামলায় সাত হাজার জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া মিজানুরসহ এ পর্যন্ত দুই মামলায় মোট ২৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

প্রতিবেদক- স্বপন বিশ্বাস, রাজবাড়ী।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...