বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে যেকোনো সময় হঠাৎ বিক্ষোভ, সংঘর্ষ এবং হরতাল–অবরোধের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে, যার আগাম সংকেত পাওয়া কঠিন। তাই বাংলাদেশে অবস্থানরত বা ভ্রমণ পরিকল্পনাকারী কানাডীয় নাগরিকদের সর্বোচ্চ সতর্ক থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কানাডা সরকার বিশেষভাবে সতর্ক করেছে যে, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবান—এই তিন পার্বত্য জেলা এখনো বিদেশি নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ নিষিদ্ধ এলাকা। স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া সেখানে যাওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। ওই অঞ্চলে রাজনৈতিক সহিংসতা, জাতিগত সংঘাত, অপহরণ, মাদক ও অস্ত্র চোরাচালানের মতো গুরুতর ঝুঁকি বিদ্যমান।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকাতেও বাড়তি সাবধানতা প্রয়োজন। বিশেষ করে জাতীয় সংসদ ভবন, সচিবালয়, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, মতিঝিল, নয়াপল্টন, পুরানা পল্টন, শাহবাগ, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, উত্তরা এবং কারওয়ান বাজার এলাকায় ভ্রমণকারীদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে।
নারীদের একা ভ্রমণে নিরুৎসাহিত করেছে কানাডা সরকার। পাশাপাশি রাতে গণপরিবহন ব্যবহার না করার এবং ঢাকার বাইরে ভ্রমণ এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কানাডার সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, সন্ত্রাসী হামলার ঝুঁকি এখনো বিদ্যমান, বিশেষ করে ধর্মীয় উৎসব বা বড় জনসমাগমের সময়। এছাড়া সাধারণ ধর্মঘট ও অবরোধ চলাকালে ভ্রমণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, “২০২৪ সালের জুলাই থেকে বাংলাদেশে সহিংসতার ঘটনায় হাজারো মানুষ নিহত হয়েছে। যদিও বর্তমানে পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত, তবুও হঠাৎ করে সহিংস বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।”
কানাডা সরকারের এই নির্দেশনা বাংলাদেশ ভ্রমণকারী কানাডীয় নাগরিকদের জন্য ভ্রমণ পরিকল্পনা পুনর্বিবেচনা এবং সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের গুরুত্ব আরও একবার স্মরণ করিয়ে দিল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...