বিজ্ঞাপন
শিহাব মাহমুদ সাংবাদিক মো. শহীদুল ইসলাম ও শিক্ষিকা মোসা. মাহমুদা আক্তার দম্পতির সন্তান। তাঁদের স্থায়ী নিবাস বাগেরহাট জেলার মোরেলগঞ্জ উপজেলার বৌলপুর গ্রামে হলেও পেশাগত কারণে পরিবারটি কাঁঠালিয়ায় বসবাস করছে। শিহাব স্থানীয় ‘কায়েদাবাদ হাফিজুর রহমান তাহফিজুল কুরআন মাদরাসা’র হেফজ বিভাগের ছাত্র।
২০১৬ সালের ১ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া শিহাব প্রথমে নাজেরানা বিভাগে পড়াশোনা শুরু করে। পরে মাত্র ৯ মাস নাজেরানা শেষ করে হেফজ বিভাগে ভর্তি হয় এবং মাত্র ১১ মাসের মধ্যেই পূর্ণাঙ্গ হাফেজ হওয়ার গৌরব অর্জন করে।
অনুভূতি ব্যক্ত করে শিহাব মাহমুদ বলেন—
“আলহামদুলিল্লাহ! অল্প সময়ে হাফেজ হতে পেরে আমি খুব আনন্দিত। প্রথমে ভেবেছিলাম অনেক কঠিন হবে, কিন্তু আল্লাহ সহজ করে দিয়েছেন। ওস্তাদরা আমাকে সবসময় সহায়তা করেছেন, তাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। দোয়া চাই, যেন বড় হয়ে একজন আলেম হতে পারি এবং ইসলামের আদর্শ বাস্তব জীবনে ধারণ করতে পারি।”
শিহাবের বাবা সাংবাদিক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন— “আমাদের স্বপ্ন পূরণ করেছে শিহাব। আমি মাদরাসার প্রতিষ্ঠাতা ও শিক্ষকদের প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সবার কাছে দোয়া চাই, আল্লাহ যেন আমার ছেলেকে ইসলামের খেদমতে কবুল করেন।”
শিহাবের মা শিক্ষিকা মোসা. মাহমুদা আক্তার জানান— “মাত্র ১১ মাসে হেফজ শেষ করতে পেরেছে আমার ছেলে। এজন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি। শিক্ষকদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ।”
মাদরাসার হেফজ বিভাগের প্রধান শিক্ষক হাফেজ মো. আব্দুল কাদের বলেন— “শিহাব প্রথমে নাজেরানা পড়ার পর হেফজ শুরু করে মাত্র ১১ মাসেই সম্পূর্ণ কুরআন মুখস্থ করেছে। আমি আশা করি, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে সে দেশ ও জাতির জন্য সাফল্য বয়ে আনবে।”
প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মো. নুরুল আমিন আলম বলেন— “শিহাব মাহমুদের সাফল্যে আমাদের মাদরাসার সুনাম বেড়েছে। আমরা দোয়া করি, আরও অনেক শিশু যেন হাফেজ হয়ে ইসলামের খেদমতে অংশ নিতে পারে।” এদিকে শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) মাদরাসায় আয়োজিত হাফেজদের ঐতিহ্যবাহী পাগড়ি প্রদান অনুষ্ঠানে শিহাব মাহমুদের এ অর্জনকে ঘিরে শিক্ষক-অভিভাবকসহ এলাকাবাসীর মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...