সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
নাহিদ ইসলাম ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ৪৭তম সাক্ষী হিসেবে জেরা দিয়েছেন। তার জবানবন্দি নাকচ করে, স্টেট ডিফেন্সের পক্ষ থেকে আমির হোসেন বলেন, “২০২৪ সালের ৩ আগস্ট সরকার পতনের জন্য ডাকা কর্মসূচি দীর্ঘদিনের পরিকল্পনার ফল। এ আন্দোলনের পেছনে দেশি-বিদেশি শক্তির হাত ছিল। দেশি-বিদেশি শক্তির ইন্ধনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।”
আমির হোসেনের এই বক্তব্যে আপত্তি জানান প্রসিকিউশন। তাদের দাবি, এই মামলায় এমন আলোচনা করা প্রাসঙ্গিক নয় এবং মামলার সঙ্গেই সম্পর্কিত কথাই বলা উচিত।
আইনজীবী আরও বলেন, “ড. ইউনূসকে জড়িয়ে কোনো মন্তব্য সমীচীন মনে করি না। তবে সাক্ষীর বক্তব্যের খাতিরে বলা প্রয়োজন।” তিনি উল্লেখ করেন, শেখ হাসিনা ও কামালকে নির্দোষ দাবি করা হচ্ছে। আন্দোলন দমনে হেলিকপ্টার বা মারণাস্ত্র ব্যবহারের কোনো নির্দেশ দেননি শেখ হাসিনা। মূলত জনগণের জানমাল ও শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। এছাড়া ২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে কোনো মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়নি।
এই দাবির জবাবে সাক্ষী নাহিদ ইসলাম বলেন, “এসব সত্য নয়। ৫ আগস্ট সারাদেশে হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতনের তথ্য সমন্বয়ক হাসনাত-সারজিসের কাছে জানতে পেরেছি।”
রোববার বেলা ১১টার পর দ্বিতীয় দিনের মতো নাহিদ ইসলামের জেরা শুরু হয়। দুপুর সাড়ে ১২টায় জেরা শেষ হলে তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে প্রেস ব্রিফিংয়ে কথা বলেন। এর আগে, ১৮ সেপ্টেম্বরও তিনি ৪৭ নম্বর সাক্ষী হিসেবে দ্বিতীয় দিনের মতো ট্রাইব্যুনালে সাক্ষ্য দেন। দুপুরে সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিরতি দেওয়া হয় এবং বিকেল ৪টা পর্যন্ত স্টেট ডিফেন্সের আইনজীবী তাকে জেরা করেন। শেষ না হওয়ায় রোববার অবশিষ্ট জেরা সম্পন্ন হয়।
প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রসিকিউটর আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...