Logo Logo

নবীজীর আদর্শে আলোকিত হয়েছিল বিশ্ব

সীরাত ও সুন্নাত ছাড়া সমাজে পরিবর্তন অসম্ভব: ড. খালিদ হোসেন


Splash Image

ছবি- সংগৃহীত

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভায় ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, সীরাত ও সুন্নাতকে ধারণের মাধ্যমেই সমাজে সত্যিকার পরিবর্তন সম্ভব।


বিজ্ঞাপন


অন্তবর্তীকালীন সরকারের ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেছেন, আল-কোরআন পৃথিবীর প্রথম লিখিত সংবিধান। নবীজীর দিকনির্দেশনায় সে সময়েই নারীর অধিকার ও সম্মান প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। বর্ণ ও জাতিগত বৈষম্য দূরীকরণ, উত্তরাধিকার আইন এবং নারী শিক্ষার ক্ষেত্রেও আধুনিকতার ছোঁয়া স্পষ্ট ছিল।

রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ এবং মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বিশ্ববিদ্যালয় ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন কমিটি।

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন আরও বলেন, সীরাতে রাসুল (সা.) এক কালজয়ী আদর্শ। তাঁর আদর্শের আলোয় বিশ্ব আলোকিত হয়েছিল, জাহিলিয়াতের অন্ধকার দূর হয়েছিল। কিন্তু আজকের যুগে বাহ্যিক আচারে মনোযোগ বেশি হলেও অন্তরের জীবনাচরণে সীরাত ও সুন্নাতের প্রতিফলন তেমনভাবে দেখা যায় না। তিনি সবাইকে সীরাত ও সুন্নাতকে জীবনে কার্যকর করার আহ্বান জানান।

অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম। তিনি বলেন, “আজকের আয়োজন শুধু একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান নয়, এটি এক মহৎ শিক্ষামূলক উদ্যোগ। মহানবী (সা.) বলেছেন, জ্ঞানার্জন প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর জন্য জরুরি। তাই জ্ঞানচর্চার মাধ্যমেই আমাদের জীবন সমৃদ্ধ করতে হবে।”

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন, কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ রইছ উদ্‌দীন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক আঃ ছালাম খান এবং জবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. মোশাররাফ হোসেন। এছাড়া আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট ইসলামী চিন্তাবিদ মুফতি আব্দুল মুনয়িম খাঁন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...