বিজ্ঞাপন
সভায় সভাপতিত্ব করেন রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার (এসপি) মোঃ কামরুল ইসলাম। সঞ্চালনায় ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম অ্যান্ড অপস্) মোঃ শরীফ আল রাজীব, পিপিএম।
মতবিনিময় সভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের শীর্ষস্থানীয় নেতৃবৃন্দসহ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের আহ্বায়ক অশোক সরকার, রাজবাড়ী পূজা উদযাপন ফ্রন্টের আহ্বায়ক অনিন্দিতা গুহ বানী এবং জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক স্বপন দাসসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন পদমর্যাদার পুলিশ সদস্যরাও অংশ নেন।
সভায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সার্বজনীন দুর্গোৎসব শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনের লক্ষ্যে মুক্ত আলোচনার আয়োজন করা হয়। জেলা, উপজেলা ও পৌর পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দ শারদীয় দুর্গাপূজার পূর্বপ্রস্তুতি ও গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে মতামত তুলে ধরেন।
বক্তব্যের শুরুতেই পুলিশ সুপার মোঃ কামরুল ইসলাম সবাইকে আশ্বস্ত করে বলেন, “রাজবাড়ীর সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বর্তমানে স্বাভাবিক আছে এবং জেলা পুলিশের কার্যক্রম পূর্ণোদ্যমে চালু রয়েছে। দুর্গাপূজায় নিরাপত্তা তিন স্তরে নিশ্চিত করা হবে—পূর্বপ্রস্তুতি, পূজা চলাকালীন ও পূজা-পরবর্তী সময়।”
দর্শনার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে মণ্ডপে যেতে পারেন, সে জন্য ট্রাফিক বিভাগকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান। পাশাপাশি প্রতিটি মণ্ডপে শতভাগ সিসি ক্যামেরা স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে পুলিশ সুপার বলেন, “স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত নির্দেশনা অনুযায়ী উৎসব পালনে সবাইকে আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করতে হবে।”
তিনি আরও সতর্ক করে বলেন, “দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা বা সাম্প্রদায়িক সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা কঠোর হাতে প্রতিহত করা হবে। অপরাধীকে অপরাধী হিসেবেই বিবেচনা করা হবে—তার ধর্ম বা বর্ণ যা-ই হোক না কেন।”
সভা শেষে পুলিশ প্রশাসন ও পূজা উদযাপন পরিষদের নেতৃবৃন্দ পারস্পরিক সহযোগিতার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রতিবেদক- স্বপন বিশ্বাস, রাজবাড়ী।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...