ফরিদপুর-৪ আসনের সাবেক এমপি নিক্সন চৌধুরী। ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
মামলাটি দায়ের করেছেন ভাঙ্গা উপজেলার সাট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর সৌমেন্দ্র নাথ সরকার। মামলায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং আরও অনেককে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। এটি ভাঙ্গা থানায় গত ১৯ সেপ্টেম্বর নথিভুক্ত হয়েছে।
গত সোমবারের সহিংস ঘটনায় ভাঙ্গা থানায় এ পর্যন্ত মোট তিনটি মামলা দায়ের হয়েছে। এর আগে ১৬ সেপ্টেম্বর ভাঙ্গা থানায় এবং ১৮ সেপ্টেম্বর ভাঙ্গার হাইওয়ে থানায় মামলাগুলো দায়ের করা হয়। সব মামলার প্রধান আসামি নিক্সন চৌধুরী। এছাড়া হামিরদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খোকন মিয়া (৫০) ও মাদারীপুর জেলার শিবচর উপজেলার চর দত্তপাড়া মহল্লার মনির চৌধুরী (৫২)কেও আসামি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, সহিংস ঘটনার আগে গত রোববার আলগী ও হামিরদী ইউনিয়নের দুই চেয়ারম্যানসহ মোট ৯০ জনের নাম উল্লেখ করে দ্রুত বিচার আইনে মামলা করা হয়। আলগী ইউপি চেয়ারম্যান ম ম সিদ্দিককে আটক করে পরের দিন দ্রুত বিচার আইনে মামলা দায়ের করে তাকে এক নম্বর আসামি উল্লেখ করে জেল হাজতে পাঠানো হয়।
উপজেলা প্রশাসনের দায়েরকৃত মামলায় ১৫ সেপ্টেম্বর সংঘটিত ভাঙচুরের পাশাপাশি সম্পদ লুটপাটের তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। স্থানীয় কর্মকর্তাদের হিসাব অনুযায়ী, এ ঘটনায় ক্ষতির পরিমাণ অন্তত দেড় কোটি টাকা। হামলাকারীরা বিভিন্ন রেজিস্টার ও নথিপত্র, কম্পিউটার সামগ্রীসহ উপজেলা নির্বাচন অফিসের সামনের নথিপত্রও আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে।
এই ঘটনায় ভাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন, স্থানীয় পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তদন্ত অব্যাহত রেখেছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...